Advertisement
Advertisement

রানা প্রতাপের কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন আকবর! ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ রাজস্থানে

বিরোধীদের অভিযোগ, এ সবই গৈরিকীকরণের কর্মসূচি।

Distortion in text book spark controversy
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:December 2, 2018 11:35 am
  • Updated:December 2, 2018 11:35 am

নন্দিতা রায়, উদয়পুর: ফের ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ রাজস্থান সরকারের বিরুদ্ধে। এত বছর ধরে আমরা যা জেনে এসেছি সেটা ভুল প্রমাণের চেষ্টা। কেমন ভুল? আমরা জানি, হলদিঘাটের যুদ্ধে সম্রাট আকবরের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মেবারের রানা প্রতাপ। কিন্তু মেবারে এসে রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুলের পাঠ্যবই দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ! বইয়ের পাতায় লেখা, হলদিঘাট যুদ্ধে না কি রানা প্রতাপের কাছে হেরে যান আকবর।

রাজস্থানের বিজেপি সরকার হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ানোর জন্য ইতিহাস বিকৃতি করে শিক্ষাব্যবস্থাতেও গৈরিকীকরণের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিভিন্ন মহলের। পাঠ্যবইয়ে রাজপুত কাহিনির বদলে ক্ষুব্ধ সমাজের একাংশও। বিধানসভা ভোটের ঠিক আগে এই ইস্যুতে স্বভাবতই কোণঠাসা বিজেপি শিবির। রাজস্থানের মেবার অঞ্চলের উদয়পুরের নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে মহারানা প্রতাপের নাম। শহর থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে কুম্ভলগড় দুর্গ। সেখানেই তাঁর জন্ম। উচ্চতার নিরিখে চিনের প্রাচীরের পরেই কুম্ভলগড় দুর্গের প্রাচীরের নাম। এখানে শহরের মধ্যে ঘোড়ার উপর রানা প্রতাপের বিশাল স্ট্যাচু সবসময়ই যেন তাঁর বীরত্ব, শৌর্যের কথা মনে করিয়ে দেয়। আর ভোট এসে যাওয়ায় রাণাকে স্মরণ, ও রাজপুত ভাবাবেগকে উস্কানি দেওয়া আরও বেড়েছে শাসকদলের।  

Advertisement

২০২২ সালে জি-২০ সম্মেলন হবে ভারতে, জানালেন প্রধানমন্ত্রী  ]

Advertisement

প্রায় সাড়ে চারশো বছর আগে হলদিঘাটের যুদ্ধে মহারানা প্রতাপ মোগল সম্রাট আকবরের হাতে পরাজিত হয়েছিলেন বলেই ইতিহাস দাবি করে। অথচ এক বছর আগে রাজস্থানের স্কুলের পাঠ্যবইতে লেখা হয়েছিল তার উলটোটা। এটা কোনওরকম ছাপার ভুল ছিল না। রীতিমতো নতুন করে ইতিহাস লিখে বই ছাপিয়ে সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল এবং সেটাই শিক্ষকরা পড়াচ্ছিলেন।  

এখানকার ইতিহাস বইয়ের পাতা থেকে মোগল সাম্রাজ্যের ইতিহাস লোপাট হয়ে গিয়েছে। ক্লাস ইলেভেনের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠ্যবইয়ে কংগ্রেসকে ব্রিটিশদের লালিত সন্তান বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোটবাতিলের সিদ্ধান্তকে ‘কালো টাকার বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। নোটবাতিল নিয়ে অর্থনীতির বইয়ে গোটা একটি অধ্যায়ও রয়েছে।

রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালেয়র সিলেবাসেও আমূল পরিতবর্তন করা হয়েছে। বিদেশি লেখকদের বই বাদ দেওয়া হয়েছে। কমার্সের সিলেবাসে গীতা স্থান পেয়েছে। এসবই শাসকদল বিজেপির অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘের পরামর্শে হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

অসমে চলন্ত এক্সপ্রেসে আইইডি বিস্ফোরণ, জখম বহু ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ