সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় গুজরাটের পরিচালক মহেশ জিরাওয়ালার মৃত্যু হয়েছে। DNA টেস্টের পর মহেশের দেহ শনাক্ত করা হয়েছে বলে শনিবার সরকারিভাবে জানানো হয়েছে।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ২৪২ জন যাত্রীর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪১ জনের। তবে যাত্রীদের পাশাপাশি যেখানে বিমানটি ভেঙে পড়ে সেখানে স্থানীয় বহু মানুষের মৃত্যু আশঙ্কা করা হয়েছিল। এই তালিকায় ছিলেন গুজরাটি পরিচালক মহেশ জিরাওয়ালা। দুর্ঘটনার পর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এমনকী তাঁর সর্বশেষ মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরা পড়েছিল দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে। এই পরিস্থিতিতে বিমান দুর্ঘটনায় মহেশের মৃত্যু হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল।
যদিও মহেশের মৃত্যু হয়েছে বলে মেনে নিতে চাইছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তবুও পরিবারের এক সদস্য DNA স্যাম্পেল দিয়ে এসেছিলেন। এবার সেই স্যাম্পেলই মিলে গেল। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে একটি পোড়া স্কুটারের বেশ কিছুটা অংশ উদ্ধার হয়। সেই স্কুটারের ইঞ্জিন ও চ্যাচিস নম্বর মিলিয়ে দেখা হয়েছে। সেটিতেও মহেশের ব্যবহার করা গাড়ির ইঞ্জিন ও চ্যাচিস নম্বরটি মিলে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে মহেশের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, আহমেদাবাদের বিমান দুর্ঘটনা এক পলকে ওলট-পালট করে দিয়েছে সবকিছু। সেদিনের অভিশপ্ত দুপুর কেড়ে নিয়েছে বহু মানুষের প্রাণ। ওই দিন গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২৪২ জনকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল এআই ১৭১। তবে টেক অফ করার পর ওপরে ওঠার পরিবর্তে নিচের দিকে নামতে শুরু করে সেটি। আছড়ে পড়ে বিমানবন্দরের পাশে একটি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে। ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা হস্টেল। এই দুর্ঘটনায় বিমানে থাকা ২৪১ জনের মৃত্যু হলেও, সকলকে চমকে দিয়ে সেই মৃত্যুকুণ্ড থেকে বেরিয়ে আসেন ওই বিমানেরই এক যাত্রী বিশ্বাসকুমার রমেশ। তবে বিমানে থাকা যাত্রীদের পাশাপাশি দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে ঘটনার সময় সেখানে থাকা স্থানীয় নাগরিকদের। সেই তালিকায় জুড়ল গুজরাটের পরিচালক মহেশের নাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.