BREAKING NEWS

৮ চৈত্র  ১৪২৯  বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

জানেন কি, ভারতে এখনও আছে ভ্যাম্পায়াররা?

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: August 7, 2016 9:56 pm|    Updated: June 11, 2018 4:41 pm

Do Vampire Still Exist In India?

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভ্যাম্পায়ার বা রক্তচোষা!
নামটা বললেই সবার আগে মাথায় আসে কাউন্ট ড্রাকুলার কথা। এখন ড্রাকুলাকে তো সাহিত্যে বিখ্যাত করে গিয়েছেন ব্রাম স্ট্রোকার। তাঁর বই পড়ে আমরা জেনেছি, ড্রাকুলা থাকত পেনসিলভ্যানিয়ায়। ফলে, ভ্যাম্পায়ার যে বিদেশি- এরকম একটা ধারণা গেঁথে গিয়েছে আমাদের মাথায়।
কিন্তু, সমীক্ষা বলছে, ভ্যাম্পায়ারের উৎস উপমহাদেশ। ভারত থেকেই না কি রক্তচোষার অস্তিত্বের কথা জেনেছিল সারা বিশ্ব। এবং, সেই মতো লক্ষণ মিলিয়ে খুঁজে পেয়েছিল তাদের। সমীক্ষা এও বলছে, তিব্বতে দেখা গিয়েছিল প্রথম রক্তচোষা।
এই জায়গায় এসে একটু থামতে হবে। কেন না, ভ্যাম্পায়ার কাদের বলব, জড়িয়ে পড়তে হবে সেই কূটকচালিতে।

vampire1_web
সাধারণত দেখা যায়, রক্তচোষারা মানুষই হয়। কোনও এক ঘটনা তাদের করে তোলে অন্য মানুষের চেয়ে আলাদা। তখন তাদের মধ্যে জন্ম নেয় নিজেকে যে কোনও রূপে বদলে ফেলার ক্ষমতা। জন্ম নেয় মানুষকে এক লহমায় ভুলিয়ে কার্যসিদ্ধির ক্ষমতা। যেমন, কাউন্ট ড্রাকুলা খ্রিস্টের পবিত্র চিহ্ন ক্রুশে তরবারি বসিয়ে দিয়েছিল স্ত্রীর মৃত্যুতে উন্মত্ত হয়ে। তার তখন আর ঈশ্বরে বিশ্বাস ছিল না। সেই পাপেই ক্রুশের গা বেয়ে নেমে আসে রক্তের ধারা। হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ড্রাকুলা তা পান করে। তার পর থেকেই তাকে অস্তিত্ব রক্ষা করতে হয় ওই রক্তপানের উপর নির্ভর করে।
তবে, ভারতীয় সমাজে রক্তচোষার ধারণা অনেকটা আলাদা। ভারত যেমন বলে বেতালা নামের এক স্ত্রী-রক্তচোষার কথা। এরা ইচ্ছামতো যে কোনও রূপ ধারণ করতে পারে। মোহিনী ক্ষমতায় এরা যে কোনও পুরুষকে বশ করতে পারে। তার পর সেই হতভাগ্যের রক্তপান করে। এছাড়া এদের প্রভাবে গর্ভিণীর গর্ভপাত হয়। এরা যার দিকে তাকায়, সে উন্মাদ হয়ে যায়।
আশ্চর্যের ব্যাপার, যৌনতায় মানুষকে ভুলিয়ে তার রক্তপান করার এই যে স্বভাব- এটা কিন্তু কী ভারত, কী ইউরোপ, সব জায়গাতই ভ্যাম্পায়ারদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। আসলে, যৌনতার কাছে তো যে কোনও মানুষই অসহায়। সেই জায়গাটাকেই তাই ব্যবহার করে রক্তচোষারা।

vampire2_web
ভারতের লোকবিশ্বাসে বেতালারই পুরুষরূপ বেতাল। যার কথা আমরা পেয়েছি বেতাল পঞ্চবিংশতি-তে। বলা হয়, বেতাল না কি গাছে বাদুড়ের মতো ঝুলে থাকে। এরা অস্তিত্ব রক্ষা করে মানুষের রক্ত এবং মাংসে।
ভারতীয় রক্তচোষার ধারণাতে এই মাংস খাওয়ার প্রসঙ্গও আছে। যা কি না ইউরোপীয় ধারণাতে নেই। সেই দিক থেকে অনেকে রাক্ষসদেরও ভ্যাম্পায়ার শ্রেণিভুক্ত করতে চান। যদিও তা খুব একটা যুক্তিযুক্ত নয়। সেই দিক থেকে বরং পিশাচদের ভ্যাম্পায়ার শ্রেণিভুক্ত হওয়া অনেক বেশি যুক্তিযুক্ত। পিশাচরা ইচ্ছামতো রূপ পরিবর্তন করতে পারে, এরাও মানুষের রক্তে তৃপ্ত হয়।
এ তো গেল ভারতীয় সমাজে রক্তচোষাদের ধারণা! তারা কি এখনও ভারতে বাস করে?
ব্যাপারটা কিন্তু খুব একটা অস্বাভাবিক নয়। কেন না, ভারতীয় লোকবিশ্বাস যাদের রক্তচোষা বলে চিহ্নিত করছে, তারা কেউই মৃত্যুর অধীন নয়। যদি ভূতের অস্তিত্ব স্বীকার করতে হয়, তবে এদের অস্তিত্বও স্বীকার করতে হবে।

vampire3_web
তাছাড়া, ২০১১ সালে একটা ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভারতীয় সমাজ। মধ্যপ্রদেশের দীপা আহিরওয়ার জানিয়েছিলেন, তাঁর স্বামী নিয়মিত ভাবে তাঁর রক্তপান করে থাকেন। তবে ঘাড়ে দাঁত বসিয়ে নয়, সিরিঞ্জে করে শিরা থেকে রক্ত তুলে নিয়ে! প্রথম সন্তান জন্মের পর প্রতিবাদ জানান দীপা। থানায় লিখিত অভিযোগ জানান। পুলিশকে তখন জানিয়েছিলেন তাঁর স্বামী মহেশ আহিরওয়ার, রক্তপানে তাঁর শরীর সজীব থাকে। নিয়মিত রক্তপান না করলে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। যেমনটা হয়ে থাকে ভ্যাম্পায়ারদের সঙ্গেও! নিচের ভিডিওয় দেখে নিতে পারেন দীপার বয়ান!
এ ছাড়া এখনও পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, ভারতের গ্রামেগঞ্জে দেখা যায় এক শ্রেণির মানুষকে। তাঁরা অর্থ উপার্জনের জন্য সবার চোখের সামনে জীবন্ত প্রাণী হত্যা করে তার রক্ত-মাংস খেয়ে থাকেন! সাধারণত মুরগি, বড় জোর ছাগল হয় এদের শিকার!
তা হলেও ব্যাপারটা গা শিউরে ওঠার মতোই! রক্তচোষাদের যে এক ঝলক দেখেই চেনা যায় না! অতএব, সাবধান থাকতে ক্ষতি কি?

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে