Advertisement
Advertisement

অমানবিকতার নজির, খালি সিটেও বসার অধিকার নেই পরিচারিকাদের

দিল্লির মেট্রোয় মালিক-পরিচারক সম্পর্কে প্রকট বৈষম্য।

Domestic help made to sit on Metro floor, pic goes viral
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 24, 2018 2:55 pm
  • Updated:January 24, 2018 2:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট পরিবার। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চাকুরে। আর্থিক স্বাচ্ছল্যতার কোনও অভাব নেই। সমস্যা একটাই, চাকরি সামলে বাড়িতে বড় একটা সময় দিতে পারেননি কেউই। তাই সংসারের ঝক্কি সামলাতে, এমনকী, সন্তানের দেখভালের জন্য পরিচারিকার প্রয়োজন পড়ে। একদিন পরিচারিকা না এলে চোখে অন্ধকার দেখেন অনেক শহুরে দম্পতিই। কিন্তু, ঘটনা হল, এই পরিচারিকাটিকে কখনওই বাড়ির একজন বলে মনে করতে পারেননি তাঁরা। তাই খালি মেট্রোয়ও নিচে বসেই যেতে হয় পরিচারিকাকে। সম্প্রতি দিল্লির মেট্রোতে এমনই ছবি ক্যামেরাবন্দি করেছেন এক সাংবাদিক।

[ট্রেন লাইনে আত্মহত্যার মহড়া যুবকের, ভিডিও ভাইরাল]

Advertisement

একটা সময় ছিল, বনেদি যৌথ পরিবারে কাজের লোকটিও বাড়িরই একজন হয়ে উঠতেন। বাউণ্ডুলে ছেলে কাজের লোককে অপমান করলে, প্রকাশ্যেই তাঁকে শাসন করতেন বাড়ির বড়রা। কিন্ত, এখন সময় পালটেছে। রান্নবান্না-সহ সংসারের প্রতিদিনের কাজ তো বটেই, নিউক্লিয়ার পরিবারে সন্তানকেও পরিচারিকার জিম্মায় রেখে নিশ্চিন্তে অফিসে চলে যাচ্ছেন কর্তা-গিন্নি। কিন্তু, যিনি সন্তান দিনভর দেখভাল করছেন, তাঁকে বাড়ির লোক বলে ভাবতে পারছেন না শহুরে দম্পতিরা। বরং পরিচারিকা-মালিকের মধ্যে বৈষম্য দিন দিন বেড়ে চলেছে। আর সেই বৈষম্যের হাতেগরম প্রমাণ মিলল দিল্লিতে। রাজধানীর মেট্রো এক সাংবাদিকের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছে, তাতে ছুটির খালি মেট্রোয়ও পরিচারিকা বসে রয়েছেন নিচে। আর পরিবার-সহ দিব্যি সিটে বসে আছেন। তবে শুধু দিল্লি বলেই নয়, দেশের প্রায় সমস্ত মেট্রো শহরেই একই ছবি। অভিজাত আবাসনগুলিতে বাড়ির পরিচারক বা পরিচারিকার সঙ্গে সচেতনভাবেই দূরত্ব বজায় রেখে চলেন আবাসিকরা। মেট্রো শহরের প্রতিটি অভিজাত আবাসনের পরিচারিকাদের জন্য আলাদা শৌচাগার পর্যন্ত থাকে।

Advertisement

[রাত ৯ টার পরে বিয়ে নয়, আজব নিদান ওয়াকফ বোর্ডের]

মজার ব্যাপার, বিশ্বে ভারতীয়রাই সবচেয়ে পরিচারিকা-নির্ভর। সকালে চা বানানো থেকে শুরু করে রাতে খাওয়ার পর বাসন মেজে রাখা, কাজের লোক ছাড়া যেন চলেই না। তাই শহুরে অভিজাত পরিবারে কাজের লোকের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সমাজের গরিব থেকে গরিবতর মানুষেরা জীবিকা নির্বাহ করছেন। মোটা অঙ্কের মাস মাইনে হয়ত পরিবারের আর্থিক কষ্টও কিছুটা লাঘব হচ্ছে। কিন্তু, ওই পর্যন্তই। তাঁদের সামাজিক অবস্থানের কোনও বদল ঘটছে না। বরং পরিচারিকাদের প্রতি মালিকদের আচরণে আরও বেআব্রু হয়ে যাচ্ছে আধুনিক সমাজের শ্রেণি বৈষম্য।

[রেকর্ড দাম স্পর্শ করল পেট্রল-ডিজেল, মোদির জমানায় সর্বোচ্চ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ