Advertisement
Advertisement

হিন্দুদের বিরুদ্ধে আবার মামলা কীসের? পুলিশকে ধমক বিজেপি নেতার

বেজায় হম্বিতম্বি বিজেপি নেতার।

Don't Dare to file FIR against Hindus: BJP leader
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 17, 2018 8:11 am
  • Updated:January 17, 2018 8:11 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘হিন্দুদের বিরুদ্ধে আবার মামলা কীসের? কেন হিন্দুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে? জবাব দিন।’- নেতার হম্বিতম্বি দেখে খানিকটা হকচকিয়ে গিয়েছিলেন দুঁদে পুলিশ অফিসাররাও। কিন্তু বিজেপি নেতা কপিল দত্ত শর্মাকে যাঁরা চেনেন, তাঁরা জানেন, এরকম হুমকি অমূলক নয়। নেতার রেকর্ড বলছে, তিনি এমনটাই করে থাকেন। এবারও তাঁর ব্যতিক্রম হল না।

[ রজনীর পর রাজনীতিতে কমল, দল ঘোষণা ২১ ফেব্রুয়ারি ]

Advertisement

মীরাটে সাম্প্রদায়িক গণ্ডগোলে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বেশ কিছু সমর্থকদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। স্থানীয় থানাতেই সে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। পুলিশ তা গ্রহণও করে। আর তাতেই অগ্নিশর্মা কপিল। এককালে বিজেপির স্থানীয় পার্টি অফিসের পিওন ছিলেন। দিন যত গড়িয়েছে প্রভাব প্রতিপত্তি বেড়েছে। থানায় যাওয়ার আগেও তাঁকে বাজারে ঘুরতে দেখা যায়। অনেকে জানাচ্ছেন, হিন্দু ও মুসলিম দোকানিদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করাই ছিল নেতার উদ্দেশ্য। যথারীতি একপক্ষকে উসকানি দিয়ে অগ্নিশর্মা নেতা প্রবেশ করেন থানায়। তারপরই শুরু হয় হম্বিতম্বি। তাঁর একটাই প্রশ্ন, কীভাবে একজন হিন্দুর নামে দায়ের হওয়া অভিযোগ গ্রহণ করল পুলিশ? মীরাটের ইতিহাস কি পুলিশ ভুলে গেল? তাঁর দাবি, কোথাও তাঁকে ভাঙচুর করতে দেখা যায়নি। তিনি বরং পরিস্থিতি শান্ত করতেই বেরিয়েছিলেন, যা প্রকারন্তরে পুলিশকে সাহায্য করারই সমান। তাহলে কেন তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে? কোন ভিত্তিতে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ? উলটে নেতার অভিযোগ, পুলিশই তাঁদের সমর্থকদের গ্রেপ্তার করেছে, তাই এত ঝামেলা।

Advertisement

‘হজ ভরতুকির বেঁচে যাওয়া টাকা খরচ হোক হিন্দুদের জন্যই’ ]

ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে। নেতার এই ধমক-ধামক মোটেও ভাল চোখে নেননি পুলিশ অফিসার। হেড কোয়ার্টারে এ ব্যাপারে বিস্তারিত রিপোর্টও পাঠানো হয়েছে। ট্রাক রেকর্ড বলছে এককালে বিজেপি অফিসে পিওনের কাজ করতেন কপিল। পরে একটি ঘটনায় তাঁর নাম জড়ায়। যেখানে এক মহিলাকে চড় মারতে দেখা যায় তাঁকে। সেই ঘটনার জেরে চাকরি যায়। কিন্তু প্রভাব কমেনি। কখনও গোরক্ষক তো কখনও স্থানীয় নেতাই বলে নিজের দাপট বজায় রেখেছেন। তা যে এখনও একইরকম, এই ঘটনাই তার প্রমাণ দিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ