সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলির একাংশের ভূমিকায় বেজায় ক্ষুব্ধ কিরেণ রিজিজু। এই বিষয়ে অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে ওই সংগঠনগুলি। এই অভিযোগে তাদের তুলোধোনা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী। আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি দাবি করেছিল রোহিঙ্গাদের আশ্রয় না দিয়ে অমানবিকতার পরিচয় দিচ্ছে ভারত। এই নিয়ে তাঁর হুঁশিয়ারি, রোহিঙ্গাদের নিয়ে ভারতে বিরুদ্ধে ভুল তথ্য প্রচার করবেন না।
[জঙ্গিদের হাওয়ালা মারফত টাকা জোগাচ্ছে রোহিঙ্গারা, উদ্বিগ্ন কেন্দ্র]
এদিন পালটা রিজিজু বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে আমার অনুরোধ, ভারত ও ভারত সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ভুল তথ্য ছড়াবেন না। দেশের সংহতি রক্ষাই আমাদের কাছে সর্বাগ্রে গুরুত্ব পায়। আমরা আমাদের কাজ সুষ্ঠুভাবে পালন করতে জানি।’ কেন্দ্র এদিনও ফের একবার স্পষ্ট করে দিয়েছে, রোহিঙ্গারা ভারতের সম্পদকেই দেশবিরোধী কাজে ব্যবহার করে। তারা দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা হলফনামা পেশ করে কেন্দ্র জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য রয়েছে কীভাবে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপনে রোহিঙ্গাদের মদত দিচ্ছে ভারতের সুরক্ষা বিঘ্নিত করতে। রোহিঙ্গাদের জঙ্গি কার্যকলাপের প্রমাণ মিলেছে নয়াদিল্লি, হায়দরাবাদ এবং জম্ম ও কাশ্মীরে।
রিজিজু বলছেন, দেশের স্বার্থেই নীতি নির্ধারণ করবে কেন্দ্র। কেন্দ্র অমানবিক নয়। রোহিঙ্গার মতো স্পর্শকাতর ইস্যুতে কেন্দ্র যা করবে, সবদিক ভেবেচিন্তেই করবে। গত মাসেও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে একহাত নেন রিজিজু। ওই সংগঠনগুলি প্রচার করছিল, ভারতে নাকি রোহিঙ্গাদের গুলি করে মারা হচ্ছে। রিজিজু স্পষ্ট করেন, ভারত সম্পর্কে আজগুবি তথ্য প্রচার করবেন না। ভারত সরকার কোনও রোহিঙ্গাদের এ দেশের আশ্রয় দিতে প্রস্তুত না হলেও কাউকে গুলি করে হত্যা বা সমুদ্রে ছুড়ে ফেলবে না। কিন্তু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। তাই ভারতের অন্দরে তাদের থাকতে দেওয়া যাবে না।