Advertisement
Advertisement

Breaking News

নজরে ‘ড্রাগনের’ গতিবিধি, চিন সীমান্ত পরিদর্শনে ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান

ডোকলামে সমস্যা মিটলেও সীমান্তে সতর্ক ভারত।

Eastern Command chief visits Sikkim
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 30, 2019 3:48 pm
  • Updated:January 30, 2019 3:48 pm

অর্ণব আইচ: সিকিমে গিয়ে চিন সীমান্তে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন ইস্টার্ন কম্যান্ডের জিওসি-ইন-সি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভান। সোমবার তিনি শিলিগুড়ি লাগোয়া সুকনায় ভারতীয় সেনার ৩৩ ত্রিশক্তি কর্পস-এর সদর দপ্তরে আসেন। চিন সীমান্তে পরিস্থিতি ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে ৩৩ কর্পস-এর জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল সিপি মোহান্তি ও অন্যান্য অধিকারিকদের আলোচনা করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল নারাভান।

[খুনের মামলা থেকে রেহাই, বেপরোয়া গাড়িচালনায় দোষী সাব্যস্ত সাম্বিয়া]

Advertisement

মঙ্গলবার সকালে সিকিমে পৌঁছান ইস্টার্ন কম্যান্ডের জিওসি-ইন-সি নারাভান। সেখানে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাকর্তারা। জানা গিয়েছে, বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী চামলিংয়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সেনার সমন্বয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, সুকনায় কর্পস এবং সিকিমে ব্ল্যাক ক্যাট ডিভিশনের কর্তারা আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় বাহিনী কতটা প্রস্তুত, তা নারাভানকে জানান। এদিন সিকিমের চিন সীমান্তের কিছু এলাকাও তিনি পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, ডোকলাম নিয়ে চিন ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনা আপাতত প্রশমিত হলেও, যে কোনও আগ্রাসনের মোকাবিলায় তৈরি থাকতে চাইছে সেনা। তাই সিকিম, অরুণাচল প্রদেশের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে সামরিক গতিবিধি বেড়েছে। ডোকলাম পরবর্তী সময়ে লালফৌজের একাধিক দল ভারতে এসে সেনাকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। যাকে সামরিক কূটনীতির অঙ্গ বলা হলেও সীমান্তে দু’দেশ নিজেদের প্রস্তুত রাখছে। সম্প্রতি সিকিমের বিমানবন্দরে বায়ুসেনা এএন-৩২ পণ্যবাহী বিমান নামিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত ফৌজ পাঠানোর জন্যই এই মহড়া হয়েছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছর সিকিমে বেশ কয়েকবার অনুপ্রবেশ করেছে চিনা সেনা। শুধু তাই নয় অরুণাচল প্রদেশেও আগ্রাসী হয়েছে লালফৌজ। তিব্বতে একাধিক বায়ুসেনা ঘাঁটি ও ভারি সামরিক সরঞ্জাম মজুত করেছে চিন। ফলে পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকছে ভারতও। ১৯৬১-র যুদ্ধে পরাজয় থেকে শিক্ষা নিয়ে অসমে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নির্মাণ করা হয় বগিবিল ও ধলা-শদিয়া সেতু। এর ফলে সহজেই অরুণাচলে সৈন্য ও সাঁজোয়া গাড়ি পাঠাতে পারেবে সেনা।      

[মোদি জমানায় কমছে দুর্নীতি, চিনকে পিছনে ফেলল ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ