সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মিশন শক্তি’ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দিল নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি খারিজ করে শুক্রবার কমিশন সাফ জানাল, কোনওভাবেই নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করেননি মোদি। জাতির উদ্দেশে ভাষণে কোথাও ভোটপ্রচার বা দলের কথা উল্লেখ করেননি প্রধানমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: মহাকাশে স্যাটেলাইট ধ্বংস করল ভারত, সফল উৎক্ষেপণ ‘এ স্যাট’ মিসাইলের]
বুধবার, ‘স্যাটেলাইট কিলার’ ‘এ স্যাট’ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। তারপরই দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে এই কৃতিত্বের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, ‘মিশন শক্তি’ সফল হয়েছে। এর ফলে আমেরিকা, রাশিয়া ও চিনের পর চতুর্থ দেশ হিসেবে এই অত্যাধুনিক জটিল প্রযুক্তির অধিকারী হয়েছে দেশ। এই ঘোষণার পর শুরু হয় বিতর্ক। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে উপলব্ধিকে ভোটের স্বার্থে ব্যবহার করছেন প্রধানমন্ত্রী বলে অভিযোগ উঠে। নির্বাচনী আচরণ বিধি লাগু থাকাকালীন এমন ঘোষণা কীভাবে করা হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করে বিরোধী দলগুলি৷ ‘মিশন শক্তি’ নামের এই গবেষণায় সাফল্যের জন্য ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানীদের অভিনন্দন জানিয়েও টুইটারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে এমন ঘোষণা করার দরকার ছিল না৷ নিজের ভোটতরী ডুবছে, বুঝতে পেরে এই পদক্ষেপ৷ বিজ্ঞানীদের সাফল্যের ফায়দা তোলার চেষ্টা৷ এটা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে৷ আমরা নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করছি৷’ একইসুরে কথা বলেন সিপিআইয়ের ডি রাজা৷ তাঁরও মত, এক্ষেত্রে যাবতীয় কৃতিত্ব বিজ্ঞানীদের৷ একে নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করছে বিজেপি৷
এদিকে, ‘স্যাটেলাইট কিলার’ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে পাকিস্তান অভিযোগ তুললেও সতর্ক ও সংযত প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চিন। পাশাপাশি ভারতকে সমর্থন জানিয়েছে রাশিয়া। আমেরিকার জন্যই ভারতের মতো দেশগুলি মহাকাশে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ মস্কোর। এছাড়াও মহাকাশে সামরিকীকরণ রুখতে ভারত-চিন-রাশিয়ার মধ্যে চুক্তির প্রস্তাবও দিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: অ্যাপের মাধ্যমে জঙ্গি নিয়োগ, জইশের নয়া ছকের পর্দাফাঁস]