সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের ব্যালট ফেরানোর দাবিকে ফের নাকচ করে দিল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সাফ কথা রাজনৈতিক চাপের কাছে কোনওভাবেই মাথা নত করবে না কমিশন। দেশকে পিছিয়ে দেওয়া যাবে না। ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের মান্ধাতার আমলে ফেরার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আগেকার দিনে গুন্ডাদের দিয়ে ব্যালট লুট করিয়ে ভোট হত। আমরা কোনওভাবেই সেই যুগে ফিরছি না।
[‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্পে বিজ্ঞাপনের খরচ বরাদ্দ অর্থের অর্ধেকের বেশি!]
সম্প্রতি, লন্ডনে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সৈয়দ সুজা নামের এক হ্যাকার দাবি করেছিলেন ভারতের ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটেও তা হ্যাক হয়েছিল। বেশ কিছু রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনেও ইভিএম হ্যাক হয়। কিভাবে ইভিএম হ্যাক হয়, তাঁর একটি কাল্পনিক ব্যাখ্যাও তিনি করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাস্তব ভিত্তি অস্বীকার করেছে কমিশন। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা যে কোনওরকম সমালোচনা বা প্রস্তাব শুনতে রাজি আছি। কিন্তু রাজনৈতিক চাপের কাছে মাথা নত করতে রাজি নই। ইভিএমেই ভোট করানো হবে।”
[রাহুলের পর সুরেশ প্রভু, টুইটে নেতাজির মৃত্যুদিন লিখে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী]
উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনে বিজেপিরে একপেশে জয়ের পরই বিরোধীদেরা অভিযোগ তোলে ইভিএমে কারচুপি করেছে বিজেপি। ফের ব্যালটে ভোট করানোর দাবি তখনই ওঠে। তখনও নির্বাচন কমিশন নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল। এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ ছোঁড়া হয়েছিল ভোটিং মেশিন হ্যাক করে দেখানোর জন্য। কিন্তু, কেউই সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি। সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে এসে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা দাবি করেন, ইভিএমকে হল ‘চোর মেশিন’। আগামী নির্বাচনে এই ভোটিং মেশিন বাতিল করতে হবে। তারপর বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়ে একটি কমিটিও তৈরি করে কমিশনের কাছে দরবার করার জন্য। এরই মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কমিশন। সাফ জানিয়ে দিল, নির্বাচন হবে ইভিএমেই।