সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়ে তরজা এখনও মিটছে না। এএনআইয়ের সাংবাদিক স্মিতা প্রকাশকে নিয়ে রাহুল গান্ধীর কটাক্ষে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া। লিখিত বিবৃতিতে গিল্ডের বক্তব্য, সাংবাদিকদের পক্ষপাতদুষ্ট বলে দেগে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
নতুন বছরের প্রথম দিন সংবাদ সংস্থা এএনআইকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। নোট বাতিল থেকে জিএসটি, রাম মন্দির থেকে উনিশের লড়াই, সব কিছু নিয়ে তিনি বিস্তারিত কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ সাংবাদিক স্মিতা প্রকাশ। এনিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরে সমালোচনা কিছু কম হয়নি। টুইটারে এনিয়ে কটাক্ষের বন্যা। অনেকে এই সাক্ষাৎকারকে সাজানো বলেও বিদ্রূপ করেছেন। এসবের মাঝেই রাহুল গান্ধী সাংবাদিক সম্মেলনের মাঝেই কটাক্ষ করেন, ‘সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার সাহস নেই মোদির। তাই তিনি একজন যোগ্য সাংবাদিককেই সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যিনি কম প্রশ্ন করেছেন, বেশিটাই শুনেছেন। দেখুন, আমি আপনাদের সামনে এসেছি। আমাকে যা খুশি প্রশ্ন করুন।’
[সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছোল অযোধ্যা মামলার শুনানি]
রাহুল গান্ধীর এই কটাক্ষে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এডিটর্স গিল্ড। তাঁদের দাবি, সংবাদমাধ্যমের কাজ নিয়ে অযথা কাটাছেঁড়া করছে রাজনৈতিক শিবির। এভাবে সাংবাদিকদের প্রতি ব্যক্তি আক্রমণকে রাজনীতিক হাতিয়ার করা হচ্ছে। সমালোচনা হোক, তা গঠনমূলক হতে হবে। একজন, দুজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ তোলা মানে ব্যক্তিগত আক্রমণ। এতে সাংবাদিকের পক্ষে কাজ করা অত্যন্ত কষ্টকর তো বটেই। সংবাদমাধ্যমের কাজে রীতিমত হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে বলেও এডিটার্স গিল্ডের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে।
[ট্রাম্পের লাইব্রেরি খোঁচায় মোদির সমর্থনে কংগ্রেস
কংগ্রেস সভাপতির এমন মন্তব্য নিয়ে পালটা আক্রমণে নেমেছে বিজেপিও। হিমাচলের বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর লোকসভায় রাফালে বিতর্কের সময়ে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, ‘প্রধানমন্ত্রী নিজেই ৯৫ মিনিটের একটি দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সবকটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। তারপর তাঁর কাছে আর কী প্রশ্ন হতে পারে? একজন মহিলা সাংবাদিককে এভাবে কটাক্ষ রাহুল গান্ধী সুলভ কাজ নয়। তীব্র নিন্দনীয় কাজ করেছেন তিনি।’ সংবাদমাধ্যমের কাজে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বা দলের অনুকূলে সংবাদমাধ্যমকে দিয়ে কাজ করানোর মতো অভিযোগ এই নতুন নয়। আগেও বহুবার এমন ঘটনার সাক্ষী দেশ। কিন্তু গণতন্ত্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্তম্ভের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়লে, আদতে তা ভঙ্গুরতার দিকেই এগোয়। তাই যতবার এধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়, সাংবাদিকদের একজোটে প্রতিবাদে শামিল হতেও দেখা যায়। এবারও গিল্ডের বিবৃতি সেই প্রতিরোধ তৈরি করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.