Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ্যসভা

আগামী মাসেই রাজ্যসভার ৫৫ আসনের নির্বাচন, নজরে বাংলার পাঁচ

মেয়াদ শেষ হচ্ছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, মণীশ গুপ্তদের।

Elections for 55 Rajya Sabha seats to be conducted on March 26
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 25, 2020 3:08 pm
  • Updated:February 25, 2020 3:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যসভার ৫৫টি আসনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল কমিশন। আগামী মাসের ২৬ তারিখ দেশের মোট ১৭টি রাজ্যের ৫৫ আসনের জন্য নির্বাচন হবে। ওইদিনই বিকেল পাঁচটার পর হবে ভোটগণনা।

Rajyasava 3 talaq
এই ৫৫টি আসনের মধ্যে এরাজ্যে খালি হচ্ছে পাঁচটি আসন। আপাতত সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। আগামী ২ এপ্রিল মেয়াদ শেষ হচ্ছে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়(Ritabrata Banerjee), যোগেন চৌধুরি, কেডি সিং, মণীশ গুপ্ত এবং আহমেদ হাসানের। এদের মধ্যে চারজনই তৃণমূল সাংসদ। ২০১৫ সালে শুধুমাত্র ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমের টিকিটে রাজ্যসভায় যান। সেসময় এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক ঋতব্রতকে দলের একাংশের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পাঠান বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সুজন চক্রবর্তীরা। ভাল বক্তা হওয়ার দরুনই ঋতব্রতকে পাঠানো হয় সংসদের উচ্চকক্ষে। সেসময় সিপিএমের যা বিধায়ক সংখ্যা ছিল, তাতে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠাতে কোনও অসুবিধাও হয়নি। কিন্তু, ২০১৭ সালে দলের শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। আপাতত তিনি নির্দল সাংসদ হিসেবে সংসদের উচ্চকক্ষের রয়েছেন। গত তিন বছরে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতাও অনেকটা বেড়েছে। সরকারিভাবে তৃণমূলে যোগ না দিলেও, একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় দেখা গিয়েছে ঋতব্রতকে। এবারে তিনি তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভায় যেতে পারেন কিনা, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

Advertisement

ritabrata

Advertisement

[আরও পড়ুন: মিলল ‘মৌখিক’ অনুমতি, শহিদ মিনারে অমিত শাহর সভা ঘিরে জটিলতা কাটার ইঙ্গিত]

এদিকে, মেয়াদ শেষ হওয়া একাধিক সাংসদ এবার টিকিট নাও পেতে পারেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। এদের মধ্যে অ্যালকেমিস্টের মালিক কেডি সিংয়ের (K. D. Singh) টিকিট না পাওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। আপাতত তৃণমূলের সঙ্গে কেডির সম্পর্ক আপাতত আদায়-কাঁচকলায়। রাজ্য বিধানসভার যা পরিস্থিতি তাতে পাঁচ আসনের মধ্যে চারটি আসনে তৃণমূল নিজেদের শক্তিতেই জিতে যেতে পারে। আরেকটি আসনে বাম ও কংগ্রেস যৌথভাবে লড়াই করলে তাঁদের প্রার্থী জিতবেন। বিজেপির কোনও আসন পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।

[আরও পড়ুন: অবসানের পথে অহি-নকুল সম্পর্ক! পুরভোটে নয়া সমীকরণ কংগ্রেস ও নকশালপন্থীদের]

তবে, গোটা দেশের নিরিখে আপাতত সুবিধাজনক জায়গায় গেরুয়া শিবির। যে ৫৫ জনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাঁদের মধ্যে ১৮ জন কংগ্রেস সাংসদ। মতিলাল ভোরা, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো বর্ষীয়ান নেতাদেরও মেয়াদ শেষ হচ্ছে এপ্রিলে। এঁদের অনেককেই রাজ্যসভায় ফেরানোর মতো ক্ষমতা নেই কংগ্রেসের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড় থেকে কয়েকটি আসন বাড়লেই অন্য বেশ কয়েকটি রাজ্যে শক্তি কমেছে কংগ্রেসের। তাছাড়া, প্রবীণ ব্রিগেডের পরিবর্তে নবীন ব্রিগেডের অনেক নেতাকে সংসদে পাঠাতে পারে কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, জিতিন প্রসদা এবং আরপিএন সিংয়ের মতো রাহুল ঘনিষ্ঠ নেতাদের নাম ভাবা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এরাজ্য থেকেও প্রার্থী করা হতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ