Advertisement
Advertisement

Breaking News

Electoral bonds

অর্ডিন্যান্স এনে ইলেক্টোরাল বন্ড ফের ‘বৈধ’ করতে পারে কেন্দ্র? জল্পনা তুঙ্গে

শাহ বানো মামলার পুনরাবৃত্তি হবে ইলেক্টোরাল বন্ডের ক্ষেত্রে?

Electoral bonds cannot be brought back in present form through ordinance, says Expersts | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:February 16, 2024 11:35 am
  • Updated:February 16, 2024 11:35 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথমে দিল্লির আমলা নিয়ন্ত্রণ বিল, তার পর নির্বাচন কমিশনার (Election Commission) নিয়োগ আইন। গত ছমাসে দুবার সুপ্রিম কোর্টের রায় অর্ডিন্যান্স এনে অকেজো করে দিয়েছে মোদি সরকার। শুধু মোদি (Narendra Modi) সরকার কেন, অতীতে বহু সরকার সুপ্রিম কোর্টের বহু রায় অর্ডিন্যান্স এনে হয় বাতিল করেছে, নয় অকেজো করেছে। কংগ্রেস আমলে যার সবচেয়ে বড় উদাহরণ শাহ বানো মামলা। ইলেক্টোরাল বন্ডের ক্ষেত্রেও কি সেই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) সাংবিধানিক বেঞ্চ ইলেক্টোরাল বন্ডকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিয়েছে, কোন রাজনৈতিক দল গত পাঁচ বছরে কোন শিল্প সংস্থার থেকে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, তা মার্চ মাসেই প্রকাশ্যে আনবে নির্বাচন কমিশন। আর সেটা হলে বিজেপির ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে। সেই সঙ্গে কোন কোন ব্যবসায়ী তাঁদের বিপুল অনুদান দিয়েছে সেটা প্রকাশ্যে আসাটা ওই ব্যবসায়ীদের জন্যও সুখকর হবে না। সূত্রের খবর, বিজেপির অন্দরে অনেক নেতাই চাইছেন সুপ্রিম রায়কে অকেজো করতে অধ্যাদেশ আনা হোক।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সন্দেশখালির অশান্তির মাঝেও নদীবক্ষে প্রেম দিবস পালন নুসরতের! তোপ বিজেপির]

কিন্তু প্রশ্ন হল, বিজেপি চাইলেই কি অধ্যাদেশ এনে সুপ্রিম রায় বাতিল করা সম্ভব। বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বাল বলছেন, “অর্ডিন্যান্স এনে সুপ্রিম কোর্টের রায় বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। মার্চের মধ্যে সব ইলেক্টোরাল বন্ডের তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। তবে কেন্দ্র চাইলে এই বন্ড পদ্ধতির বদলে অন্য কোনও অনুদানের পদ্ধতি চালু করতে পারে।” প্রাক্তন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিকাশ সিংও একই কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্র চাইলেও অর্ডিন্যান্স এনে বর্তমানে যে ইলেক্টোরাল বন্ড চালু আছে, সেটা ফেরাতে পারবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মিমির ইস্তফা: শতাব্দী, জুনের সঙ্গে তুলনা করেও মমতার কোর্টে বল ঠেললেন কুণাল]

যদিও দু’জনেরই মত লোকসভার আগে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স এনে সুপ্রিম রায় বদলাতে চাইবে না। কারণ, ভোটের আগে সেটা করলে কেন্দ্রের ভাবমূর্তি ধাক্কা খেতে পারে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ