BREAKING NEWS

১৭ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বৃহস্পতিবার ১ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

একটা গরুও যেন ঠান্ডায় না মরে, আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ যোগীর

Published by: Subhajit Mandal |    Posted: January 5, 2023 11:25 am|    Updated: January 5, 2023 11:25 am

Ensure no cow dies of cold and hunger: Yogi Adityanath tells officials | Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গো-রাজনীতি আর উত্তরপ্রদেশ, যেন সমার্থক। মানুষ মরে মরুক, ঠান্ডায় যেন একটা গরুও না মরে। উত্তরপ্রদেশ সরকারের মনোভাব যেন খানিকটা তেমনই। শীত বাড়তেই ‘গোমাতা’দের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। বলে দিলেন, দরকার হলে PPP মডেলে স্বনির্ভর গোশালা তৈরি করতে হবে। কিন্তু ঠান্ডায় কষ্ট পেয়ে গরু মরতে দেওয়া যাবে না।

উত্তরপ্রদেশ তথা গোবলয়ের একটা জ্বলন্ত সমস্যা বেওয়ারিশ গরু। এমনিতে গোবলয়ের বহু মানুষ গরুকে মাতৃজ্ঞানে পুজো করলেও বহু ‘গোমাতা’-ই গৃহহীন। তাদের নির্দিষ্ট কোনও আশ্রয় নেই। এর ফলে তারা রাতভর কৃষকের ফসলের ক্ষতি করে। লোকসানের মুখে পড়তে হয় কৃষককে। এই সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে এবার রাজ্যজুড়ে গোশালা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তররপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী। সমস্যা হল এই গোশালা গুলি চালানোর বিপুল খরচ। দেশের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার রাজ্যে নাগরিক পরিষেবা দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে গরুদের পোষার খরচ বিলাসিতার মতোই।

[আরও পড়ুন: বেকারত্ব বাড়েনি, বেড়েছে কর্মসংস্থান! ‘ভিত্তিহীন’ সমীক্ষা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে দাবি কেন্দ্রের]

কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার এক বৃহদাকার গোশালা (Goshala) পরিদর্শনে গিয়ে তিনি আধিকারিকদের কড়া ভাষায় বলে দিয়েছেন, কোনওভাবেই ঠান্ডায় গোমাতাকে কষ্ট দেওয়া চলবে না। রাজ্যের সব বেওয়ারিশ গরু যাতে অন্তত শীতকালটাই স্থায়ী ঠিকানা পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সেজন্য গোশালাগুলিকে স্বনির্ভর হতে হবে। এগুলিকে CNG বা CBG অর্থাৎ গ্যাস উৎপাদন শিল্পের সঙ্গে জুড়তে হবে। যাতে গোশালাগুলির রোজগার বাড়ে। প্রয়োজনে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। সেই চুক্তিগুলি হবে PPP মডেলে। যাতে গোশালাগুলি স্বনির্ভর হয়।

[আরও পড়ুন: একসময় গুজরাট সরকারের আইনসচিব ছিলেন, বিলকিসের মামলা থেকে সরলেন সেই বিচারপতি]

উল্লেখ্য, এই সরকারি গোশালাগুলি তৈরি করার জন্য আগেই রাজ্যের বিভিন্ন লাভজনক সংস্থা, বাজার কমিটি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ীদের আয়ের উপর ২ শতাংশ করে সেস ধার্য করেছে যোগী (Yogi Adityanath) সরকার। এই সেসের টাকা দিয়েই গোশালার রক্ষণাবেক্ষণ এবং কর্মীদের বেতন দেওয়ার কথা। ধীরে ধীরে রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের সহায়তায় গোশালাগুলি স্বনির্ভর হওয়ার চেষ্টা করছে।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে