সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে রোজই খুন হচ্ছেন সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীর ইস্যুতে বিশ্বের কাছে যখন নালিশ করছেন ইমরান খান। ঠিক তখনই এদেশে পালিয়ে এসে পাকিস্তান সম্পর্কে এই অভিযোগই করলেন তাঁরই দলের এক প্রাক্তন বিধায়ক। শুধু তাই নয়, ভারতে পালিয়ে এসে রাজনৈতিক আশ্রয়ও চাইছেন ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রাক্তন শিখ বিধায়ক বলদেব কুমার।
[আরও পড়ুন: একই মণ্ডপে পালিত হল গণেশ চতুর্থী ও মহরম, সম্প্রীতির নজির এই গ্রামে]
গত পাঁচ আগস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকেই ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক মহলে গলা ফাটাচ্ছিল পাকিস্তান। ঠিক সেই সময়ই পাকিস্তান ছেড়ে পাঞ্জাবের লুধিয়ানা জেলার খান্নায় এসে সপরিবারে বসবাস শুরু করেছেন বলদেব। কোনওভাবেই আর পাকিস্তানে ফিরতে চান না তিনি।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বারিকোট বিধানসভার প্রাক্তন ওই বিধায়ক। সেসময় পাকিস্তানে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে রোজ হিন্দু ও শিখদের খুন করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে দারুণ খারাপ ব্যবহার করে পাকিস্তানের প্রশাসন। বর্তমানে ওখানে কী হচ্ছে তা গোটা বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে। ভেবেছিলাম খান সাহেব ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতির পরিবর্তন হবে। কিন্তু, সেদিন আমাদের শিখ মেয়েটিকে অপহরণ করা হল। এমন জিনিস চলতে পারে না। তাই আশ্রয় চেয়ে ভারতে এসেছি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি সাহেবকে আমাদের সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানাব।’
[আরও পড়ুন: একই মণ্ডপে পালিত হল গণেশ চতুর্থী ও মহরম, সম্প্রীতির নজির এই গ্রামে]
তাঁর আরও দাবি, ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বুনের জেলায় খুন হন এক শিখ বিধায়ক। সেই মামলাতেও তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে পাক প্রশাসন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে পাকিস্তানে তিনটি কিশোরী মেয়েকে জোর করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে। তাদের পরিবারের তরফে প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তার মধ্যেই সেদেশের সরকারের বিরুদ্ধে মারাত্মক এই অভিযোগ করলেন সেখানকার প্রাক্তন এক বিধায়ক।