সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতীত হয়ে গিয়েছে নয়ডার (Noida) টুইন টাওয়ার (Twin Tower)। ১০ বছর ধরে তৈরি গগনচুম্বী অট্টালিকা ৯ সেকেন্ডে ধুলোর স্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ধ্বংসযজ্ঞে লেগেছে ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক। যা ভারতের তৈরি ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্রগুলির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, যে পরিমাণ বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে টুইন টাওয়ার ধ্বংসে তা তিনটি অগ্নি-৫-এর (Agni-V) সমান, ১২টি ব্রহ্মসের (BrahMos) সমকক্ষ, পাঁচটি পৃথ্বী (Prithvi) মিসাইলের সমশক্তিমান।
কুতুব মিনারের চেয়ে উঁচু সুপার টেক টুইন টাওয়ার ধ্বংসে খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। এটি ভারতের সবচেয়ে বড় অট্টালিকার ধ্বংসকার্য, যা ঐতিহাসিক ঘটনা। আর এই কাজেই অগ্নি, পৃথ্বী ও ব্রহ্মসের মতো মিসাইলের চেয়েও বেশি শক্তি কাজে লাগানো হয়েছে।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (DRDO) তৈরি অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রটির ওজন ৫০ কিলোগ্রাম। উচ্চতা ১.৭৫ মিটার। দেড় হাজার কিলোগ্রাম বিস্ফোরক যুদ্ধাস্ত্র এটি। যেখানে টুইন টাওয়ার ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়েছে ৩,৭০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক। এই কারণেই বলা হচ্ছে প্রায় তিনটি অগ্নি-৫ মিসাইলের সমান শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে জোড়া টাওয়ার ধ্বংসে। অন্যদিকে একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্র হল ৩০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক। অর্থাৎ ১২টি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রের সমান শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে নয়ডার ধ্বংসযজ্ঞে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, পাঁচটি পৃথ্বীর সমান শক্তি ব্যয় করা হয়েছে টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দিতে।
বেআইনি নির্মাণের কারণে ৩৭০০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরকের সাহায্যে মাটিতে মেশানো হয় টুইন টাওয়ার। প্রথম অভিযোগ, ১৪ তলা বলা হলেও পরে ৪০ তলা নির্মাণের অনুমোদন রয়েছে বলে দাবি করে নির্মাণ সংস্থা। এছাড়াও দু’টি টাওয়ারের মধ্যে ১৬ মিটারের বদলে ৯ মিটার দূরত্ব রাখা হয়। বেআইনি নির্মাণে সুপারটেক, নয়ডা প্রশাসন ও দমকল বিভাগের বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হলেও কারও জেলের মতো বড় শাস্তি হয়নি। গোটা কাজে নয়ডার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের ১১ জন আধিকারিকের যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। যাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে সাসপেন্ডও করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.