Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতে নকল ২০০০ টাকার নোট পাচার করছে পাকিস্তান

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়েই পাচার হচ্ছে এই নোট।

Fake Rs 2,000 notes from Pak reach India via Bangladesh border
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 13, 2017 3:27 am
  • Updated:February 13, 2017 3:27 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট বাতিলের পর কেটেছে মাস তিনেক। এর মধ্যেই ভারতের বাজারে ঢুকে পড়ছে নকল ২০০০ টাকার নোট। সৌজন্যে অবশ্যই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়েই পাচার হচ্ছে এই নোট।

কী! বাড়িতে শৌচাগার নেই? তাহলে আপনার বিয়েও বন্ধ

নোট বাতিলের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল জঙ্গি কার্যকলাপে রাশ টানা। গোয়েন্দাদের পর্যবেক্ষণ ছিল, ভারতীয় বাজারে বহু নকল নোট ঢুকিয়েছিল পাকিস্তান। সেই কালো টাকার জোরেই মূলত ফুলে ফেঁপে উঠছিল জঙ্গিদের কারবার। বড় অঙ্কের নোট বাতিল করে এক ধাক্কায় সে কারবারে লাগাম টেনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু নোট বাতিলের পর মাস তিন পেরতে না পেরতে দেখা যাচ্ছে, ফের ভারতের বাজারে ঢুকছে নকল নোট। সাম্প্রতিক ধরপাকড় ও নোট বাজেয়াপ্তের নিরিখেই এ ধারনা বিশেষজ্ঞদের। চলতি মাসেই জাল নোট পাচারের অভিযোগে মুর্শিদাবাদ থেকে পাকড়াও করা হয় আজিজুর রহমান নামে এক যুবককে। ৪০টি নকল ২০০০ টাকার নোট ছিল তার কাছে। জেরায়, ওই যুবক স্বীকার করেছে নোটগুলি পাকিস্তানে ছাপানো হয়েছে। এছাড়া এনআইও গোয়েন্দাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, আরও নকল নোট ঢুকেছে ভারতে। আর তা পাচার করা হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত হয়ে।

Advertisement

পাক বৃদ্ধকে দেশে ফিরিয়ে নজির ভারতীয় সেনার

তবে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, এই চক্র এখনও পুরোদমে সক্রিয় হতে পারেনি। কিছু সংখ্যক নকল নোটই ভারতে ঢুকেছে। তার অধিকাংশই বাজেয়াপ্তও করা হয়েছে। তবে মুশকিল হল, নকল নোট এতটাই নিখুঁত ছাপানো যে খালি চোখে ফারাক ধরা পড়ছে না। নোটের ১৭টি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্তত ১১টি বৈশিষ্ট্যই হুবহু নকল করা হয়েছে। কাগজের মান একটু খারাপ হলেও তা সাধারণভাবে বোঝা যাচ্ছে না। ফলত একবার নকল নোট বাজারে চালু হয়ে গেলে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা চিহ্নিত করা প্রায় অসম্ভব।

Advertisement

রাজস্থানে ভারত-পাক সীমান্ত থেকে আটক এক পাক গুপ্তচর

প্রাথমিকভাবে অল্প সংখ্যক নোট বাজারে ছেড়েই পরীক্ষায় নেমেছিল পাক জঙ্গিরা। তা সফল হলে ফের বিপুল পরিমাণ কালো টাকায় ছেয়ে যেতে পারত ভারতের বাজার। গত ডিসেম্বরেই প্রথম এই চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পাচারকারীকে ধরে ফেলেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা। জানা যাচ্ছে, নোট পাচারের জন্য পাচারকারীকে দেওয়া হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা। তার বিনিময়েই কালো টাকা ঢোকানো হচ্ছে ভারতে। কালো টাকা রোখার ক্ষেত্রে দেশে এই মুহূর্তে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে পাকিস্তানের এই চক্রান্ত আটকাতেও সতর্ক গোয়েন্দারা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ওয়েবসাইট হ্যাক? মানতে নারাজ আধিকারিকরা

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ