Advertisement
Advertisement

দেশজুড়ে ১০ দিন ধর্মঘটের ডাক কৃষকদের, খাদ্য সংকটের আশঙ্কা

১৩০ টি কৃষক সংগঠন এই ধর্মঘটের পথে হাঁটছে।

Farmers on 10 days nationwide strike, food scarcity predicted
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 1, 2018 10:31 am
  • Updated:June 1, 2018 10:31 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক বছরখানেক আগে এক কৃষক বিক্ষোভে নাড়িয়ে দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রকে। দুই রাজ্যে কৃষকদের দীর্ঘদিনের জমে থাকা ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছিল রাজপথে । সেই বিক্ষোভ দমন করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ, শিবরাজ সং চৌহানদের । মধ্যপ্রদেশের মাণ্ডসৌরে বিক্ষোভরত কৃষকদের উপর গুলি চালায় পুলিশ। মৃত্যু হয় ৬ জন কৃষকের। এরপরই বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা উত্তর ভারতে। একবছর পর আবারও সেই কৃষক বিক্ষোভের অশনিসংকেত দেখছে উত্তর ভারত।

[‘সাংবাদিকতার শুরু মহাভারতেই, সে যুগের গুগল ছিলেন নারদ মুনি’]

এবার অবশ্য প্রতিবাদের পন্থা হিসেবে এবার আর পথে নামা নয়, বরং ঘরে বসে থাকাকেই বেছে নিয়েছেন কৃষকরা। ঠিক হয়েছে আগামী দশদিন উৎপাদিত ফসল, সবজি, চাল-ডাল, দুধ, মাংস কোনও কিছুই শহরে গিয়ে বিক্রি করবেন না কৃষকরা। দশদিন ধরে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হবে সরবরাহ। রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসংঘের নেতৃত্বাধীনে মোট ১৩০ টি কৃষক সংগঠন এই অভিনব ধর্মঘটের পথে হাঁটছে। আন্দোলনের পন্থা পরিবর্তন হলেও দাবি সেই একই, বিনা শর্তে কৃষিঋণ মকুব করা, শাক সবজির দাম বাড়ানো, উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য সংক্রান্ত স্বামীনাথন কমিটির সুপারিশ লাগু করা, কোনও কোনও সংগঠনের দাবির মধ্যে রয়েছে গোহত্যার উপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে গোবলয়ের রাজ্যগুলির মধ্যে তা তুলে দেওয়া । যতদিন না দাবি পূরণ হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে বলে জানাচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলি। এর আগে সংগঠনগুলির তরফে কৃষকদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গেও দেখা করেছে । তাতেও সুফল না মেলায় এই আন্দোলনের ভাবনা।

Advertisement

[২০১৪ সালের পর যোগীর রাজ্য থেকে প্রথম মুসলিম সাংসদ পেল লোকসভা]

যে সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তাদের অস্তিত্ব উত্তর ভারতের ৭ টি রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তাই এই ধর্মঘটের মূল প্রভাব পড়বে উত্তর ভারতেই। তবে, এবারে আন্দোলনের তীব্রতা গতবছরের মত হবে না বলে আশাবাদী সরকার । কারণ, গতবছর যে বড় কৃষক সংগঠনগুলি আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন এবছর তাদের অনেকেই বিরত আছেন। এর পিছনে অনেকে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় কিষাণ মহাসংঘের দাবি, কেউ কেউ কৃষকদের স্বার্থের কথা না ভেবে তাদের ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে, সেই সব সংগঠনগুলিকে আন্দোলন থেকে দূরে রাখা হয়েছে। আন্দোলনের তীব্রতা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও দশ দিন ধরে যদি ধর্মঘট চলে তাহলে খাদ্যসংকট তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা সাত রাজ্যের প্রশাসনের।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ