সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গবাদি পশু বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে করে যখন কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ উঠছে, তখন তাঁর রাজ্যেই ধর্মীয় সম্প্রীতির একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। হিন্দু হয়েও নিষ্ঠাভরে রোজা পালন করে চলেছেন এক মহিলা। তাও আবার ৩৪ বছর ধরে। আমেদাবাদের জামালপুরের বাসিন্দা পরীবেন লেওয়ার এই কারনামায় ইতিমধ্যে সর্বত্র সাড়া পড়ে গিয়েছে।
[প্যালেস্তিনীয় শিশুকে স্তন্যপান, মানবিকতার নজির ইজরায়েলি নার্সের]
আগে একেবারে নিয়ম মেনে ৪০ দিনই রোজা পালন করতেন পরীবেন। কিন্তু এখন শারীরিক অসুস্থতার কারণে সে নিয়মে ছেদ পড়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এবছর মাত্র তিনদিন তাঁকে রোজা রাখার অনুমতি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
[পুরুষ যাত্রীদের বদভ্যাস বাগে আনতে আজব ফরমান এই শহরে]
শুরুটা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। সেবার নিজের ভাইয়ের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন মহিলার স্বামী। মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তিনি জানিয়েছেন, ‘স্থানীয় একটি পীর বাবার দরগায় গিয়ে মানত করেছিলাম, যদি আমরা মামলায় জিতি, তাহলে আমি রোজা রাখব। সেবছর মামলার রায় বেরোয় এবং আমরা জিতি। সেই থেকেই রোজা রাখছি।’
[শ্লীলতাহানির চেষ্টা, গুরগাঁওয়ের রাস্তায় যুবককে জুতোপেটা মহিলাদের]
আগে স্বামী, মেয়েদের নিয়ে আমেদাবাদে জামালপুরের তাজপুর মোমিনওয়াদ এলাকায় থাকতেন পরীবেন। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুর পর মেয়েদের নিয়ে অন্যত্র চলে যান তিনি। নতুন জায়গায় আসার পরও রোজার নিয়মে কোনও ছেদ পড়েনি। পুরনো পাড়ার মুসলিম প্রতিবেশীদের সঙ্গেও এখনও যোগাযোগ রয়েছে লেওয়ার পরিবারের। পরীবেন লেওয়ার মেয়ে সরলা লেওয়া জানিয়েছেন, পরীবেন দিনের শেষে যখন উপবাস ভঙ্গ করেন, সেদিন পুরনো প্রতিবেশীরা ইফতারিও পাঠান।
[মথুরায় তীর্থযাত্রীদের গাড়ি নদীতে, মৃত বহু]
তবে শুধু রোজা রাখাই নয়. পাড়ায় মুসলিমদের যেকোনও অনুষ্ঠানেই সক্রিয়ভাবে অংশ নেয় লেওয়া পরিবার। পরীবেনের বড় মেয়ে মঞ্জুলা লেওয়ারের কথায়, ‘ছোটবেলা থেকে কোনওদিনই বাবা-মা আমাদের মহরমের মিছিলে যেতে বাধা দেয়নি। ইদেও উপহার পেয়েছি।’