সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার দেশের বাণিজ্যনগরী সাক্ষী রইল অনার কিলিংয়ের। অন্তঃসত্ত্বা মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মুম্বইয়ের ঘাটকোপারে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাবার অমতে বিয়ে করেছিলেন বছর কুড়ির মেয়েটি। তারই শাস্তিস্বরূপ মরতে হল তাঁকে।
[ আরও পড়ুন: প্রায় ১৪০ দিন পর ভারতের জন্য আকাশপথ খুলে দিল পাকিস্তান ]
যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় রবিবার। তাঁর দেহ রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। তারপরই দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। ওই দিন থেকেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে উঠে আসে মারাত্মক তথ্য। জানা যায়, বহুদিন থেকেই ব্রজেশ নামে এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল মেয়েটির। কিন্তু মেয়েটির বাবা ব্রজেশকে মেনে নিতে পারেননি। তিনি চাননি ব্রজেশের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হোক। এনিয়ে তিনি একাধিকবার মেয়েকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু মেয়ে ছিলেন অনড়। তিনি ব্রজেশের সঙ্গেই বিয়ে করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন। বিয়েও করেন তাঁরা। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের বিয়ে মেনে নিতে পারেননি বাবা। অভিযোগ, সেই কারণেই মেয়েকে খুন করেন তিনি।
মুম্বই পুলিশের ডিসিপি অখিলেশ সিং জানিয়েছেন, মেয়েটির নাম মীনাক্ষী চৌরাসিয়া। তাঁর বাবার নাম রাজকুমার। দু’বার মীনাক্ষী বাবার দেখা পাত্রকে বাতিল করেন। এরপর, ফেব্রুয়ারিতে মীনাক্ষী বিয়ে করেন ব্রজেশ চৌরাসিয়াকে। সাতনায় তাঁদের বিয়ে হয়। বাবার অমতে বিয়ে করেছিলেন মীনাক্ষী। তখন থেকেই মেয়ের উপর রেগে ছিলেন রাজকুমার। শনিবার রাতে রাজকুমার মীনাক্ষীকে ডেকে পাঠান। বলেন, মেয়ে ও জামাইয়ের জামাকাপড় কেনার জন্য তিনি টাকা দিতে চান। মীনাক্ষী যখন রাজকুমারের বাড়ি যান, তখন তিনি মেঝেয় টাকা ফেলে দেন। মীনাক্ষীকে বলেন সেগুলি কুড়িয়ে নিতে। মীনাক্ষী যখন সেগুলি কুড়িয়ে নেওয়ার জন্য নিচু হয়, তখনই তাঁর উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন রাজকুমার। মেয়েকে ঘটনাস্থলেই মেরে ফেলেন তিনি। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। পরে পুলিশ মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে গ্রেপ্তার করে রাজকুমারকে।
[ আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে পাঁচতলা বাড়ি ভেঙে মৃত অন্তত ১২, আটকে বহু ]