সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার সুন্দরবানি এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে চার জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল এস পি বৈদ্য ওই চার জঙ্গির মৃত্যুর কথা জানিয়েছেন। ডিজি এদিন জানিয়েছেন, বুধবার গোপন সূত্রে জঙ্গিদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এদিন পুলিশ, সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গড়া যৌথবাহিনী সুন্দরবানি এলাকার জঙ্গল ঘিরে ফেলে। বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে জঙ্গিরা গুলি চালাতে শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গেই পালটা গুলি চালায় বাহিনী। এই গুলির লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত চার জঙ্গির মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক এবং গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছে। দিন চারেক আগে কেরণ সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে জঙ্গিরা কাশ্মীরে প্রবেশ করে ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
[বিমানের মধ্যে সেবিকার শ্লীলতাহানি, গ্রেপ্তার পুণের ব্যবসায়ী]
এদিকে কাশ্মীরে বিপথে যাওয়া সন্তানদের ফিরে আসার আরজি জানাচ্ছেন বাবা-মা| বাড়ি ছেড়ে জঙ্গি দলে নাম লেখানোর হিড়িক বেড়েছে যুবকদের মধ্যে। গত শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের খানার গ্রামের বাসিন্দা ফইদ মুস্তাক ওয়াজা হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়ায় মুস্তাকের একটি ছবি ভাইরাল হয়। ওই ছবিতে মুস্তাককে বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ছেলে জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবায় যোগ দিয়েছে, এই খবর শোনার পরই অসুস্থ হয়ে পড়েন মুস্তাকের মা-বাবা। এর পরই মুস্তাককে বাড়ি ফিরে আসার অনুরোধ জানান তাঁরা।
পরিবারের তরফে এই কথা জানানো হলেও পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। মুস্তাকের পরিবারের এক সদস্য বুধবার জানিয়েছেন, গত শুক্রবার একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মুস্তাক। এর পর সে আর বাড়ি ফেরেনি। এমনকী, মুস্তাকের মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু মঙ্গলবার ইন্টারনেটে ছেলের ছবি প্রকাশের পর তার অন্তর্ধানের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ছেলের কথা জানার পর মুস্তাকের বাবা এতটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। মায়ের শারীরিক অবস্থাও ভাল নয়। তাই আমরা চাই, মুস্তাক অবিলম্বে অস্ত্র ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসুক। একইভাবে জঙ্গি সংগঠনকেও মুস্তাককে ছেড়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছে মুস্তাকের পরিবার।
[কংগ্রেস সভাপতিকে ‘ওয়ে রাহুল’ বলে বিপাকে বিজেপি, নিন্দা সোশ্যাল মিডিয়ায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.