Advertisement
Advertisement

কাকে দেখে “কহো না প্যায়ার হ্যায়” গাইলেন বাবুল?

না, কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নয়৷ পুরস্কার-বিতরণী মঞ্চেও নয়৷ শুক্রবার যে প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাঁরই গাওয়া অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গানের কলি ফের গুনগুন করে উঠলেন, সেটা একটা চিড়িয়াখানা এবং সাফারি-পার্ক৷ আর পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সাংসদের সামনে তখন বসে বিশ্রাম করছে একটা সাদা বাঘ৷

For whom Babul Supriyo sings 'kaho na pyaar hyan'?
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 5, 2016 6:26 pm
  • Updated:May 20, 2023 1:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “কহো না প্যায়ার হ্যায়৷”
না, কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নয়৷ পুরস্কার-বিতরণী মঞ্চেও নয়৷ শুক্রবার যে প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় তাঁরই গাওয়া অত্যন্ত জনপ্রিয় এই গানের কলি ফের গুনগুন করে উঠলেন, সেটা একটা চিড়িয়াখানা এবং সাফারি-পার্ক৷ আর পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলের সাংসদের সামনে তখন বসে বিশ্রাম করছে একটা সাদা বাঘ৷
হ্যাঁ৷ এত কাছ থেকে সে দৃশ্য দেখেই মুগ্ধ বাবুল আপন মনে গেয়ে উঠেছিলেন “কহো না প্যায়ার হ্যায়৷” পরে সাংবাদিকরা যখন তাঁকে প্রশ্ন করলেন, ‘হোয়াইট টাইগার সাফারি’ কেমন উপভোগ করলেন তিনি? এক গাল হেসে বিজেপি নেতা জানান, এই গানটিই গেয়ে উঠেছিলেন তিনি৷ এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শুক্রবার মধ্যপ্রদেশের রেওয়ায় গিয়েছিলেন বাবুল৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী রাধামোহন সিং৷ ওইদিনই মুকুন্দপুরের ‘হোয়াইট টাইগার সাফারি অ্যান্ড জু’-তেও যান বাবুল৷ সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন মধ্যপ্রদেশের জনসংযোগ এবং শক্তি-মন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা৷ ঘটনাস্থলে প্রবেশ করা মাত্রই সাদা বাঘ দেখতে পান তাঁরা৷ এত কাছ থেকে সে দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়ে পড়েন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন রাষ্ট্রমন্ত্রী৷ উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েন শুক্লাও৷ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে পরে বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, “এই এলাকাতেই যে প্রথম সাদা বাঘের খোঁজ মিলেছিল৷ আবার এখানেই মহারাজা মার্তণ্ড সিং-ও এখানেই সাদা বাঘ দেখেছিলেন৷ এই সব তথ্য জানতে পেরে দারুণ লাগল৷ আরও জানতে পারলাম যে, মহারাজা মার্তণ্ড সিংই সাদা বাঘের সংরক্ষণের জন্য উদ্যোগ নেন৷ শুধু তাই নয়, এখান থেকেই দেশ-বিদেশের চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ পাঠানো হয়েছিল৷”
ঐতিহাসিকরা বলেন, মধ্যপ্রদেশের বিন্ধ্য এলাকায় সর্বপ্রথম সাদা বাঘের দেখা মিলেছিল ১৯১৫ সালে৷ সেটির মৃত্যু হয় পাঁচ বছর পর, ১৯২০ সালে৷ ১৯৫১ সালে, সাদা বাঘের একটি শাবক ধরা পড়েছিল৷ সেটির নাম দেওয়া হয়েছিল মোহন৷ এই মোহনের বংশধররাই পরে বিশ্বের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে৷ মহারাজা মার্তণ্ড সিংয়ের উদ্যোগেই তা সম্ভব হয়েছিল৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ