নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G20 Summit) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু আহূত নৈশভোজে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও (Sheikh Hasina)। আর এদিনই প্রধানমন্ত্রী মোদির বাসভবনে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক বৈঠক করেন তিনি। কী কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের? জানা যাচ্ছে, হাসিনা মোদিকে বলেছেন, চিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক একান্তই বাণিজ্যিক। কিন্তু ভারতের সঙ্গে ‘রক্তের সম্পর্ক’।
এদিন হাসিনাকে নিজের বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানাতে দেখা যায় মোদিকে। এরপর তাঁদের মধ্যে কথা হয় দু’জনের। সামনেই বাংলাদেশের নির্বাচন। তার আগে হওয়া বৈঠকে হাসিনা মোদিকে তাঁদের দেশের নির্বাচনে মার্কিন চাপের প্রভাব নিয়ে কথা বলেন। সেই সঙ্গেই ওঠে চিনের প্রসঙ্গ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, চিনের সঙ্গে তাঁদের দেশের সম্পর্ক মূলত আর্থিক। অর্থাৎ সেই সম্পর্ক কূটনৈতিক শৈত্যে ভরা। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্কটা আলাদা। তা ‘রক্তের সম্পর্ক’।
এদিকে এদিন হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও (Mamata Banerjee)। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ ও সৌজন্য বিনিময় হয়েছে। শনিবার রাতে রাজধানীর ভারত মণ্ডপমে বিশ্বের তাবড় নেতাদের সঙ্গে নৈশভোজে হাজির ছিলেন মমতা-সহ ইন্ডিয়া জোটের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীও। মমতাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একই টেবিলে বসেছিলেন অমিত শাহ, যোগী আদিত্যনাথও। তাঁদের সঙ্গেও সৌজন্য বিনিময় হয় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.