সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে বিভক্ত বিশ্ব। রাশিয়াকে একঘরে করতে মরিয়া আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলি। কিন্তু ভারত ও চিনের মতো বিশ্বশক্তির মস্কোর পাশে থাকায় সেই চেষ্টা সফল হচ্ছে না। তাই এবার ভারতকে রুশ প্রভাবমুক্ত করতে সক্রিয় হয়েছে জার্মানি। এবার নয়াদিল্লিকে অত্যাধুনিক সাবমেরিনের টোপ দিয়েছে বার্লিন।
রয়টার্স সূত্রে খবর, ভারতের (India) সঙ্গে যৌথভাবে ছ’টি কনভেনশনাল সাবমেরিন তৈরি করতে আগ্রহী জার্মানি। ভারতীয় নৌসেনার আধুনিকিকরণের কথা মাথায় রেখেই ৫২০ কোটি মার্কিন ডলারের এই প্রকল্পের অন্তর্গত অত্যাধুনিক ডিজেল-ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন তেরি করতে চায় বার্লিন। ২৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার দু’দিনের ভারত সফরে আসছেন জার্মান চান্সেলর ওলাফ শোলৎজ। সেই সফরেই সাবমেরিন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতকে রুশ প্রভাবমুক্ত করতে সক্রিয় হয়েছে জার্মানি। বরাবরই সোভিয়েত তথা রাশিয়ার তৈরি হাতিয়ার ভারতীয় সেনার মেরুদণ্ড। তাই ইউক্রেন যুদ্ধের আবহেও শান্তির বার্তা দিলেও মস্কোর পাশেই দাঁড়িয়েছে ভারত। এবার দিল্লির সেই রুশ হাতিয়ার নির্ভরতা কাটাতে চাইছে জার্মানি। সম্প্রতি, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার প্রসঙ্গেও বার্লিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, এই বিষয়ে তাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।
উল্লেখ্য, এই মুহুর্তে ভারতের হাতে রয়েছে প্রায় ১৬টি ডিজেল-ইলেক্ট্রিক সাবমেরিন। দেশেই তৈরি দু’টি পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজও রয়েছে নৌসেনার হাতে। ভারত মহাসাগরে চিনের দাপট রুখতে নিজের সাবমেরিন বাহিনী আরও মজবুত করতে চায় মোদি সরকার। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতে অস্ত্রের বাজার ধরতে সচেষ্ট জার্মানি।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন, ভারতকে চাপে ফেলতেই ভারত মহাসাগরে তৎপরতা বাড়িয়েছে চিন। আর জিবৌতির চিনা নৌবহরের কৌশলগত অবস্থান ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য উদ্বেগজনক। ভারত-আমেরিকা-জাপান-অস্ট্রেলিয়ার চতুর্দেশীয় অক্ষকে চাপে ফেলতেই চিন এই পদক্ষেপ করছে। সবমিলিয়ে, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সুয়েজ খালমুখী জলপথে অবরোধ তৈরি করে নয়াদিল্লির উদ্বেগ বাড়াতে পারে চিনা (China) ফৌজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.