সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাষাবিবাদ এদেশের সংস্কৃতি নয়। হিন্দিভাষীদের উচিত দেশের অন্যান্য আঞ্চলিক ভাষাকে আরও সম্মান দেওয়া। এতে আখেরে হিন্দি ভাষাই দেশজুড়ে আরও জনপ্রিয় হবে। এমনই মত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের।
বৃহস্পতিবার, হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি জানান, আজও দেশের কিছু প্রান্তে হিন্দির বিরোধিতায় সোচ্চার হন স্থানীয় মানুষ। অথচ, বেশ কয়েক দশক আগেই কর্মক্ষেত্রের ভাষা বা অফিসিয়াল ল্যাঙ্গোয়েজের মর্যাদা পেয়েছে হিন্দি। তাহলে ভাষার প্রতি ভাষার এত বিরোধ কেন, প্রশ্ন তোলেন তিনি। একই দেশের প্রতিটি ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব আছে বলে মতপ্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
[অনুগামীরা সব বেপাত্তা, সিবিআইয়ের ডাকে হাজির একলা মদন]
সম্প্রতি, বেঙ্গালুরু মেট্রোয় হিন্দি সাইনবোর্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কন্নড়পন্থী কিছু সংগঠন। এর আগে, তামিলনাড়ুতেও একইভাবে হিন্দি ভাষা ব্যবহারের বিরুদ্ধেও সোচ্চার হয় স্থানীয়রা। এই ঘটনাগুলি উঠে আসে তাঁর বক্তব্যে। তিনি বলেন, অ-হিন্দিভাষী মানুষরা আশা করেন, যে হিন্দিভাষীরা তাঁদের ভাষাকে গুরুত্ব দেবেন। হিন্দিভাষীদের উচিত অন্য ভাষাকেও গুরুত্ব দেওয়া। আমাদের সকলের দায়িত্ব যাঁরা হিন্দিভাষী নন তাঁদের সম্মান করা।
[জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ রোহিঙ্গারা, সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র]
এই প্রেক্ষিতে একটি উপায়ও বলে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর প্রস্তাব, হিন্দিভাষীদের উচিত একজন তামিলকে ‘ওয়ানাক্কম’ বলে সম্বোধন করা। তেমনই, শিখকে ‘সত শ্রি অকাল’ বা উর্দুভাষীকে ‘আদাব’ এবং তেলুগুভাষীকে ‘গারু’ বলে স্বাগত জানানো।
[গীতা আওড়ে মৌলবিদের চক্ষুশূল, স্কুল ছাড়তে বাধ্য হল মুসলিম কন্যা]
রাষ্ট্রপতি জানান, অন্য ভাষা ও সংস্কৃতিকে আপন করলে তা আখেরে দেশ ও দেশবাসীকে এক সূত্রে বাঁধবে। কোবিন্দ বলেন, হিন্দির মধ্যে অন্য ভাষার জনপ্রিয় শব্দকে অন্তর্ভুক্ত করে তার ব্যবহার বাড়ানো উচিত। এতে আখেরে হিন্দি আরও জনপ্রিয় হবে। শুধু ভাষা নয়, অন্যান্য সংস্কৃতিকেও আপন করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি।