সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাতের আঁধার হোক কিংবা দিনের বেলা, গোয়া মানেই প্রকাশ্যে মদ খাওয়ার ছুট। এমনকী সমুদ্রের একদম সামনে গিয়েও চলত দেদার মদ্যপান। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ নেই। গত বুধবারই গোয়া প্রশাসনের তরফ থেকে নিয়ম করে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে আর কেউ মদ্যপান করতে পারবে না। করলেই হাজতবাস নিশ্চিত। অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা এড়াতে এবং গোয়ার বিচগুলির সৌন্দর্য বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার কার্তিক কাশ্যপ। আর এই নিয়মের গেরোয় পরেই বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ছয় ব্যক্তি। প্রকাশ্যে মদ্যপানের জন্যই তাঁদের আটক করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন অভিযুক্ত ছ’জনকে পানাজি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে কালানগুটে গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। ছ’জনের মধ্যে চারজন কর্ণাটক, একজন মহারাষ্ট্র এবং একজন দিল্লির বাসিন্দা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধি ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রসঙ্গে পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রত্যেককেই মাপুসায় আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। তবে জামিন পাননি তাঁরা। শুক্রবার জামিনের জন্য ফের একবার তাঁদেরকে আদালতে হাজির করা হবে।’
এর আগে গত বুধবার থেকে গোয়ায় প্রকাশ্যে মদ খাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে প্রকাশ্যে কোনও জায়গায় মদ খেতে গিয়ে ধরা পড়লে হাজতবাস হবে, জানিয়েছিল প্রশাসন। এমনকী পর্যটকদের ক্ষেত্রে রাতে সমুদ্রের ধারে বসে মদ্যপানেও আরোপ করা হয় বিধিনিষেধ। প্রকাশ্যে মদ খেলেই পুলিশকে গ্রেপ্তারির নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার কার্তিক কাশ্যপ। তবে এই নির্দেশ জারি করার আগে সাধারণ মানুষ এবং পর্যটন ক্ষেত্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করে পুলিশ। মূলত অপ্রীতিকর দুর্ঘটনা, অপরাধ এড়ানো এবং গোয়ার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতেই গোয়া পুলিশের এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি মদের বোতল, ভাঙা গ্লাসের টুকরোতে সমুদ্রে স্নান করতে আসা পর্যটক কিংবা সমুদ্রে সৈকত ঘুরতে আসা লোকজনের সুরক্ষার জন্যও এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.