Advertisement
Advertisement

১৬০ কেজি সোনা দিয়ে ঢেলে সাজছে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির

কাজ চলছে জোরকদমে।

Golden temple to get 160 kg more gold
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 16, 2018 8:28 pm
  • Updated:July 16, 2018 8:28 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির ভারত তথা গোটা দুনিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রতি বছরই হাজার হাজার মানুষ শিখদের এই ধর্মস্থান দর্শন করতে ভিড় জমান অমৃতসরে। দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভক্তরা সোনার গয়নাও দান করেন এখানে। সেই স্বর্ণমন্দিরকেই এবার ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল কর্তৃপক্ষ। এবার সোনার ছটায় আরও উজ্জ্বল হবে মন্দিরটি। কারণ আরও ১৬০ কেজি সোনা দিয়ে সেজে উঠবে মন্দির চত্বর।

[মুম্বইয়ে মৃত্যুফাঁদ বেহাল রাস্তা, প্রতিবাদে পূর্ত দপ্তরের অফিসে তাণ্ডব নবনির্মাণ সেনার]

শিখদের এই পবিত্র ধর্মস্থান দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে শিরোমণি গুরুদ্বার পারবন্ধক কমিটি। যার সচিব দিলজিৎ সিং বেদি বলেন, “কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দিরের চারটি প্রবেশ পথে যে গম্বুজগুলি রয়েছে তা সোনার পাত দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। এর অর্থ হবে স্বর্ণমন্দিরে আসার জন্য প্রত্যেকের জন্য সব দ্বারই খোলা। প্রবেশ পথ ঢেলে সাজাতে ১৬০ কিলোগ্রাম সোনা ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতিটা গম্বুজকে ৪০ কেজি সোনার পাতে মুড়ে ফেলা হবে।” এই কাজে খরচ হবে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। গত এপ্রিল থেকেই একটি দিকের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কমিটি নিযুক্ত ভলান্টিয়াররাই কাজ করছেন। তামার পাতের উপর সোনার প্লেট বসাচ্ছেন কিছু কারিগর। বাকিরা তা প্রবেশ দ্বারে বসাচ্ছেন। ঘণ্টা ঘরের দিকের কাজ শেষ হলে বাকি দিকগুলির কাজে হাত দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement

Advertisement

[যেতে নাহি দিব…শহিদ জওয়ানের কফিন আঁকড়ে রইল ৫ মাসের শিশুকন্যা]

১৯২ বছর আগে শিখ শাসক মহারাজা রঞ্জিত সিং মন্দির তৈরির জন্য ১৬.৩৯ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। ইতিহাস বলছে, সেই সময় ৬৪.১১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মন্দির তৈরি হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে অপারেশন ব্লুস্টারের পর স্বর্ণমন্দির মেরামতির কাজ হয়। ১৯৯৯ সালে শেষবার মেরামতি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এবার শুধু মন্দিরই নয়, তার প্রবেশ পথও উজ্জ্বল হতে চলেছে সোনালি ছটায়। ভলান্টিয়ানরা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত ঠিক হয়েছে এক একটি প্রবেশ দ্বারের জন্য ৪০ কেজি করে সোনা ব্যবহার হবে। তবে প্রয়োজন হলে তা আরও ১০ কেজি করে বেড়েও যেতে পারে। অর্থাৎ পর্যটকদের কাছে যে এ স্থান আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে, তা বলাই বাহুল্য।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ