Advertisement
Advertisement
করোনা ভ্যাকসিন

গতি আসছে ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ায়! ৫ দেশীয় সংস্থার সঙ্গে বৈঠক কেন্দ্রীয় কমিটির

ট্রায়ালের কোন পর্যায়ে আছে দেশীয় ভ্যাকসিনগুলি?

Govt panel meets vaccine makers in India, discuss production

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 18, 2020 8:56 am
  • Updated:August 18, 2020 8:56 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের মাটিতে করোনার ভ্যাকসিন কবে তৈরি হবে? আপাতত সেই প্রতীক্ষায় প্রহর গুণছে কোটি কোটি ভারতবাসী। রাশিয়া ইতিমধ্যেই করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কথা ঘোষণা করলেও, তাতে ভারতের খুব একটা উপকার হবে বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা। কারণ, রাশিয়ার ভ্যাকসিনের যা উৎপাদন হার, তাতে ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের শরীরে তা দিতে হলে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। আসলে, দেশের মাটিতে ভ্যাকসিন তৈরি না হলে সব ভারতবাসীর হাতে তা তুলে দেওয়াটা সত্যিই একপ্রকার অসম্ভব। সেজন্যই কেন্দ্র দেশীয় সংস্থাগুলিকে উৎসাহ দিচ্ছে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে। এই সংস্থাগুলিকে সবরকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি দেশের সেরা ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে। এই বৈঠকে কেন্দ্রের তরফে ছিলেন নীতি আয়োগের সদস্য ভি কে পাল, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ-সহ অন্যান্যরা। মোট পাঁচটি ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে দেখা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এই সংস্থাগুলি হল সেরাম ইনস্টিটিউট (Serum Institute of India), ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech), জাইদাস ক্যাডিলা (Zydus Cadila), জেনোভা বায়োফার্মাসিউটিক্যালস এবং হায়দরাবাদের সংস্থা বায়োলজিক্যাল ই। সংস্থাগুলির কাছে মূলত ভ্যাকসিন তৈরিতে তাঁদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। কারা পরীক্ষার কোন পর্যায়ে আছে, তাঁদের সমস্যা কী কী, এসব কথা শোনে কেন্দ্রীয় কমিটি। সংস্থাগুলির কী কী ভাবে সাহায্য প্রয়োজন, সেটাও জানতে চাওয়া হয় কমিটির তরফে। কেন্দ্র ওষুধ প্রস্তুতকারীদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে এবং ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়ায় গতি আনতে অনুরোধ করেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বৈঠকের ফলে দুই তরফই উপকৃত হবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার বেনজির বন্দোবস্ত, সময় কমিয়ে শুরু হতে চলেছে সংসদের অধিবেশন]

আইসিএমআর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল প্রায় শেষ হয়েছে। তাঁরা পৌঁছে গিয়েছে দ্বিতীয় পর্যায়ে। কমবেশি একই অবস্থায় জাইদাস ক্যাডিলার ভ্যাকসিনও। সেরাম ইন্সটিটিউটকে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে অনুমতিও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিনগুলি নিয়েই আশাবাদী কেন্দ্র।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ