Advertisement
Advertisement

জিএসটি-র বর্ষপূর্তি, কতটা লাভবান সাধারণ মানুষ?    

দেশের অর্থনীতির মোড় কি ঘুরেছে?

GST anniversary: What the people and economy get
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 30, 2018 3:18 pm
  • Updated:June 30, 2018 3:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে এ যাবৎ সবচেয়ে বড় কর সংস্কার জিএসটি। পূর্ণ তার এক বছর। ২০১৭ সালের ১ জুলাই থেকে গোটা দেশে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে ১৭ রকমের পরোক্ষ কর বিলুপ্ত করে একক কর ব্যবস্থা শুরু করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার। তাই প্রতি বছর ১ জুলাই দিনটা ‘জিএসটি দিবস’ হিসাবে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রথমদিকে বেশ কিছুটা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করলেও কর কাঠামোর পরিবর্তন এক নয়া দিশার সূচনা করে।

[১০ ফুট বরফে মোড়া শেষনাগ, টানা বৃষ্টিতে ‘ভিলেন’ আবহাওয়া]

Advertisement

কিন্তু, জিএসটি-র ফলে কি আদৌ লাভবান হয়েছে সাধারণ মানুষ? অথবা, দেশের অর্থনীতির মোড় ঘুরেছে?

Advertisement

বিরোধীদের প্রতিবাদ ও সমর্থকদের যুক্তির মধ্যে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জিএসটি-র আওতায় বেশ কিছু পণ্যের দাম কমেছে। তবে বেশ কয়েকটি পরিষেবা, যেমন টেলিফোন বিল প্রভৃতির খরচ বেড়েছে। তবে সার্বিকভাবে মোটের উপর গত এক বছরে মূল্যবৃদ্ধির হার বিশেষ বাড়েনি। সাধারণ মানুষের পক্ষের এটি বড় স্বস্তি। একাধিক করের জটিলতা কমে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। যদিও সম্প্রতি পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষের ক্ষোভ বেড়েছে সরকারের প্রতি। তবে বিশ্লেষকদের মতে, মদ, রিয়েল এস্টেট এবং পেট্রল-ডিজেল এখনও জিএসটি-র বাইরে। এই পণ্যগুলি থেকে রাজ্যগুলি তাদের মোট রাজস্বের ৩৭% পর্যন্ত আদায় করে। এই পণ্যগুলি জিএসটিতে অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় নতুন কর ব্যবস্থায় দাম কমার পুরো সুবিধা সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন না। জিএসটির দ্বিতীয় বছরে পেট্রোপণ্য জিএসটির আওতায় আনা হবে কিনা তা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।

উল্লেখ্য, জিএসটি কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় সরকারেরর ভোটাধিকার ৩৩ ও রাজ্যগুলির ৬৬ শতাংশ। কোনও বিষয়ে মতের অমিল হলে সিদ্ধান্তের জন্য ৭৫ শতাংশ সদস্যের ভোট প্রয়োজন। কিন্তু, সেই পরিস্থিতি এখনও আসেনি। ফলে জিএসটি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর শক্তিশালী উদাহরণ। এই ব্যবস্থার ফলে সরকারের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। যার ফল বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পের মাধ্যমে পাবে সাধারণ মানুষ। জিএসটি শুরু হওয়ার পর উল্লেখযোগ্যভাবে আয়কর দাতার সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ৫.৪৩ কোটি থেকে ২০১৭-১৮ বছরে আয়কর দাতার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৮৪ কোটি। সরকারের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ করের আদায় বাড়লে ওই দুই করের হারই কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় পাওনা।

যদিও একাধিক ক্ষেত্রে আশাপূরণ করেনি জিএসটি। যেমন, করফাঁকি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। অনেকরই অভিযোগ সমস্ত প্রক্রিয়া জটিল হওয়ার জন্য গ্রাহকদের ভুল বোঝাচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভরতুকি থাকা পণ্যের উপর জিএসটি ধার্য করে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে। অনেক পণ্যে ও পরিষেবার ক্ষেত্রেই দেশজুড়ে করের হার এক সমান। ফলে মূল্যর হেরফের হওয়ার কথা না থকলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় দামে হেরফের করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে সার্বিকভাবে দেশের অর্থনীতি ও জটিল কর ব্যবস্থার পরিবর্তনে বড়সড় ভূমিকা নিয়েছে জিএসটি, তা বলাই যেতে পারে।

[‘বড়ভাই’ লিচুকে পিছনে ফেলে বিদেশের পথে বাংলার আঁশফল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ