সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যে কোনও ই-কমার্স সাইট খুললেই এখন ছাড়ের ঘনঘটা। ছাড়ের লোভে দেদার ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কিন্তু কেন? শুধুই কি ছাড় দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা? নাকি অন্য কিছু! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে স্টক ক্লিয়ারের জন্যই এ কাজ করছে ই-কমার্স সাইটগুলি। কেননা পণ্য পরিষেবা কর বা জিএসটি লাগু হওয়ার পর থেকেই বদলে যেতে পারে কেনাকাটার ছবি।
[ মিসেস মোদি কোথায়? গাড়ির দরজা খুলে হতবাক হোয়াইট হাউসের প্রহরী ]
পয়লা জুলাই থেকেই চালু হচ্ছে পণ্য পরিষেবা কর। গোটা দেশ বাঁধা পড়ছে এক কর ব্যবস্থায়। আর তার জেরেই বেশ খানিকটা বদলে যাচ্ছে অনলাইনে কেনাকাটার নিয়মকানুন। এতদিন পর্যন্ত ই-কমার্স সাইটগুলিতে কোনও ট্যাক্স ধার্য করত না। কিন্তু এখন থেকে ১ শতাংশ হারে ট্যাক্স নেবে সংস্থাগুলি। এর প্রভাব পড়তে চলেছে জিনিসের দামে। অর্থাৎ অনলাইনে কেনাকাটা এবার খানিকটা হলেও দামী হতে চলেছে।
[ জানেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রীকে কী উপহার দিলেন মোদি? ]
যে কোনও সময় সংস্থাগুলি ডিসকাউন্ট দিতে পারত এতদিন। কিন্তু সম্ভবত তা আর হবে না। কেননা এবার থেকে ইচ্ছেমতো ডিসকাউন্ট দিতে গেলেও সংস্থাগুলিকে পড়তে হবে অ্যাডিশনাল ট্যাক্সের কোপে। অর্থাৎ আগে একাধিক সংস্থার প্রতিযোগিতার জেরে সস্তায় পণ্য পেতেন ক্রেতারা। কিন্তু এখন ডিসকাউন্টের সেই প্রবণতা খানিকটা কমবে বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
[ সুখবর! জুলাইয়ে বেতন বাড়ছে অধ্যাপক, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের ]
পণ্য ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রেও খানিকটা সমস্যার মুখে ক্রেতাদের পড়তে হবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। গড়ে ১৮ শতাংশ জিনিস ফেরত যায় বা বাতিল হয় এই সংস্থাগুলিতে। কিন্তু এবার থেকে এর জন্য করের ভার বহন করতে হবে সংস্থাগুলিকে। পরে অবশ্য তা সরকারের থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু তার আগে বড় অঙ্কের ধাক্কা সামলাতে হবে সংস্থাগুলিকে। সে কারণে রিটার্ন পলিসিতেও বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
[ জানেন, কেন সিরিয়ার এই একরত্তি কন্যাকে স্বীকৃতি দিচ্ছে টাইম ম্যাগাজিন? ]
তবে কিছুটা সুবিধাও আছে। এখন আর কোনও জিনিস ডেলিভারি দিতে বেশি সময় নেবে না সংস্থাগুলি। কেননা আগে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে জিনিস গেলে নানারকম হিসেবনিকেশ করতে হত। ফলে পেপারওয়ার্কের জন্য খানিকটা দেরি হত। কিন্তু পণ্য পরিষেবা কর চালু হলে সে সমস্যা মিটবে। তাতেই ত্বরাণ্বিত হবে ডেলিভারি।