যৌনকর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা, শহরের হোটেল থেকে গ্রেপ্তার গুজরাট পুলিশের ‘ডিএসপি’

অর্ণব আইচ: নৈশ বিহারে যৌনকর্মীদের নিয়ে এসে হোটেলে আস্ফালন ‘পুলিশ কর্তার’। ফিল্মি কায়দায় হোটেল কর্মীকে দেখে নেওয়ার হুমকি। এমনকি স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ‘পিএমও তক লেকে জায়েঙ্গের’ হুমকি। যদিও তর্জনগর্জন করলেও গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে ও তাঁর  দুই সঙ্গীকে।

[বিয়ের আসর থেকে উদ্ধার নাবালিকা মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী, পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠাল পুলিশ]

ঘটনাটি বেকবাগান এলাকার একটি হোটেলে। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে ওই হোটেলে উঠেন ধৃতরা। অভিযোগ, এঁদের মধ্যে একজন রাতে দুই যৌনকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে আসেন। তবে যৌনকর্মীদের ঘরে ঢুকতে দিতে আপত্তি জানায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। তারপরই টাকা চায় যৌনকর্মীরা। ফলে শুরু হয় বচসা। ঘটনার কথা জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় দুই যৌনকর্মী। এদিকে হোটেল কর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে অভিযুক্তর। পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। পরিচয় জানতে চাইলে নিজেকে গুজরাট পুলিশের ডিএসপি বলে দাবি করেন  অভিযুক্ত। তারপরই শুরু হয় তাঁর আস্ফালন। তবে সেখান থেকে তাঁদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

থানায় নিয়ে গেলে অফিসারদের হুমকি দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর পর্যন্ত তাঁর হাত আছে বলে জানান ‘ডিএসপি’ রয় অলোক সুকুমার। তাঁকে গ্রেপ্তার করলে থানার বড়বাবুর চাকরি নিয়ে টান পড়বে বলে হুমকি দেন তিনি। তবে এসবে কান না দিয়ে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তদের। অলোক সুকুমারের কাছ থেকে একটি পরিচয় পত্র পাওয়া গিয়েছে। সেখানে আইপিএস অফিসার বলেই লিখা রয়েছে। তবে তাঁর পরিচয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

[মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শই পাথেয়, টাকা-গয়না পেয়েও ফেরালেন পঞ্চায়েত কর্মী]