সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের দেখানো পথেই এবার হাঁটতে চলেছে বিজেপিশাসিত গুজরাটও। যোগীর রাজ্যের মতো এবার মোদির রাজ্যেও মহিলাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য স্থায়ী ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ।
[সৌদিতে অত্যাচারিত ভারতীয় মহিলা, দেশে ফেরার জন্য দ্বারস্থ বিদেশমন্ত্রীর]
বস্তুত, ১৯৯৯ সালে গুজরাটেই প্রথম এই ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ তৈরি হয়। তবে সারা বছর নয়, মূলত নিউ ইয়ার, নবরাত্রির মতো উৎসবে্র দিনগুলিতে রাতের বেলা আহমেদাবাদ, ভদোদরা, রাজকোটের মতো শহরে মহিলাদের ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচাতে সক্রিয় থাকতেন এই বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীকালে ২০০২ সালে উত্তরপ্রদেশে হিন্দু যুব বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ তৈরি করেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। চলতি বছরে ক্ষমতা দখলের পর, উত্তরপ্রদেশের পুলিশবাহিনীতে ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ চালু করেন তিনি।
[যোগীর রাজ্যেই একটি গ্রামের নাম পাল্টে হচ্ছে ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর’!]
উত্তরপ্রদেশের সাফল্যে উজ্জীবিত হয়েই এবার গুজরাটেও স্থায়ী ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াড’ তৈরি করতে চাইছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই ‘অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডে’ পুরুষ ও মহিলা মিলে ১০ জন পুলিশকর্মী থাকবেন। গুজরাট পুলিশের ওম্যান সেলের এসিপি পান্না মোমায়া জানিয়েছেন, ইভটিজিংয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের সদস্য। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় মক ড্রিলের মাধ্যমে কীভাবে ইভটিজারদের মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে টিনএজারদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। এছাড়াও মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাতে শহরের বিভিন্ন নির্জন জায়গায় অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের সদস্যরা টহল দেবেন বলেও পুলিশ সুত্রে খবর।
[গুজরাটে ওঝাদের সংবর্ধনা বিজেপির, দুই মন্ত্রীর হাজিরাতে বিতর্ক]
প্রসঙ্গত, গুজরাটে প্রতিদিন গড়ে ১০০টির মতো ইভটিজিংয়ের অভিযোগ জমা পড়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা ধরা পড়লেও, গড়ে ২৫টির মতো অভিযোগের কোনও সুরাহা হয় না।