সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাইক নিয়ে আমেদাবাদ হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ রাস্তার মাঝে এসে পড়েছিল দুটি গরু। এর ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে মৃত্যু হয় গুজরাতের আমেদাবাদের বাসিন্দা ২৮ বছরের যুবক সঞ্জয় প্যাটেলের। কিন্তু, সেপ্টেম্বর মাসে ঘটা ওই দুর্ঘটনাটি সঞ্জয়ের দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর ফলেই হয়েছিল বলে তাঁর বাবাকে দিয়ে এফআইআরে নথিভুক্ত করানো হল পুলিশের তরফে।
এপ্রসঙ্গে তাঁর বাবা মহেশ প্যাটেল বলেন, “ছেলের মৃত্যুর পর এ ডিভিশন ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে আমাকে একটি সমন পাঠানো হয়েছিল। এরপর ওই দুর্ঘটনাটি যে আমার ছেলের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর জন্যই ঘটেছিল তা লিখে আমাকে দিয়ে এফআইআরে সই করানো হয়। যদিও আচমকা রাস্তার উপর গরু চলে আসায় আমার ছেলে বাইকটি নিয়ন্ত্রণ করার কোন সময় পায়নি। এটা খুবই অবাক করা বিষয় যে রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুগুলির মালিককে না ধরে এই দুর্ঘটনার জন্য আমার ছেলে দোষী করা হচ্ছে।
[ভারতকে জবাব দিতে গিয়ে হাসির খোরাক পাক সাংবাদিক]
আমেদাবাদের কালোল এলাকার বাসিন্দা সঞ্জয় একটি গাড়ির ডিলারের কাছে কাজ করত উল্লেখ করে ট্র্যাফিক ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি কমিশনার (প্রশাসনিক) তেজস প্যাটেল বলেন, “শহরে ১৪টি ট্র্যাফিক পুলিশ স্টেশন আছে। কিন্তু কোনটিতেই দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে একটিও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে সঞ্জয় প্যাটেলের মামলাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি সত্যি হলে খুবই দুর্ভাগ্যজনক।” পাশাপাশি রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুগুলির মালিককে চিহ্নিত করা খুব শক্ত বলেও স্বীকার করে নেন তিনি। যদিও আমেদাবাদ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জে আর মুথালিয়া বলেন, “বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো গরুদের চিহ্নিত করে ধরার জন্য সহকারী কমিশনারের নেতৃত্বে একটা সিভিক বডি ক্যাটেল স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তেজস প্যাটেল। বলেন, “ট্র্যাফিক পুলিশ ও স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে ওই স্কোয়াডকে নিরাপত্তা দেওয়া হবে।”
[বাসিন্দাদের স্থায়ী শংসাপত্র নিয়ে অগ্নিগর্ভ অরুণাচল, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন]
গতবছর গুজরাট হাই কোর্টের তরফে শহরের রাস্তায় যত্রতত্র গরু ঘুরে বেড়ানো নিয়ে ভর্ৎসনা করা হয়েছিল আমেদাবাদ পুরসভা ও শহরের পুলিশ কমিশনারকে। এরপর রাস্তায় গরু ছেড়ে রাখার অভিযোগে দুজনকে আটক করা হয়।