দীর্ঘ ছ’মাস ধরে নিজের মেয়েকেই ধর্ষণ, ধৃত বাবা

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা আপনজন৷ তাঁর কাছে নিজেকে সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে সন্তান৷ সন্তানের জন্য তিনি যা বলেন বা করেন, চোখ বন্ধ করে তাকেই বিশ্বাস করা যায়৷ কিন্তু এই বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়ে ওঠে, তাহলে? এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল গুরুগ্রামের একটি গ্রাম৷ যা শুনলে শিউরে উঠতে হয়৷ ৩৭ বছরের বাবা দীর্ঘ ছ’মাস ধরে নিজেরই নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করে যাচ্ছিল৷ শুধু তাই নয়, মেয়েকে বোঝানো হয়, এটাই স্বাভাবিক৷ শুক্রবার এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত বাবাকে৷

[রাজনীতিতে সাফল্য চাইলে বিয়ে করবেন না, মন্ত্রীর পরামর্শে শোরগোল]

পাতৌদির একটি গ্রামের কারখানার শ্রমিক ৩৭ বছরের অভিযুক্ত৷ দ্বিতীয় স্ত্রী ও চার সন্তানকে নিয়ে কারখানার চত্বরেই থাকত সে৷ যার মধ্যে ১৩ বছরের নির্যাতিতা হল তার আগের পক্ষের স্ত্রীর সন্তান৷ অভিযোগ, সেখানেই স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দিনের পর দিন মেয়েকে ধর্ষণ করে বাবা৷ এবং খুব ঠান্ডা মাথায় সে মেয়েকে বোঝায়, বাবার সঙ্গে সন্তানের শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টা অত্যন্ত স্বাভাবিক৷ এতে চিন্তার কোনও কারণ নেই৷ মানেসরের মহিলা থানার এসএইচও পুনম সিং বলেন, “গত শুক্রবার রাত দশটা নাগাদ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে৷ গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে সে৷ কিন্তু নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করেও কোনও অপরাধবোধ নেই তার মধ্যে৷ শুধু তাই নয়, মেয়েকে বারবার বুঝিয়েছে, এমন ঘটনা প্রত্যেক বাড়িতেই ঘটে৷”

[মাওবাদীদের বিরুদ্ধে সেনার মোক্ষম অস্ত্র ৫৪৩ জন ‘বাস্তারিয়া’]

নির্যাতিতা জানায়, দীর্ঘ ছ’মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল বাবা৷ এবং হুমকি দিয়েছিল, এ বিষয়ে যেন কারও কাছে মুখ না খোলে সে৷ কিন্তু একসময় সহ্যের বাঁধ ভাঙলে সৎ মাকে গোটা বিষয়টা জানায় ওই কিশোরী৷ কিন্তু তিনি সেসব বিশ্বাস করেননি৷ তবে সত্যিটা যাচাই করতে শুক্রবার কাজ থেকে আগে বাড়ি ফেরেন তিনি৷ আর এসে নাবালিকা সন্তানের সঙ্গে স্বামীকে অশালীন অবস্থায় দেখে চমকে ওঠেন৷ তারপরই পুলিশের দ্বারস্থ হন মহিলা৷ পকসো আইনের আওতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়৷ শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক৷ গোটা ঘটনায় মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছে নাবালিকা৷ থানায় তার কাউন্সেলিং চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷