Advertisement
Advertisement

এক শতাংশ ধনীর হাতেই দেশের অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি!

গরিব আরও গরিব হচ্ছে ।

half of the India's wealth in 1 percent's hand
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 21, 2019 5:17 pm
  • Updated:January 21, 2019 7:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গরিব আরও গরিব হচ্ছে, আরও বাড়ছে ধনীর সম্পত্তি। বিভেদ বাড়ছে ধনী-গরিবের। দেশের ১ শতাংশ ধনীর হাতেই এখন পঞ্চাশ শতাংশের বেশি সম্পত্তি। চোখ কপালে তোলার মতো পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এসেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, দেশের এক শতাংশ ধনী ব্যক্তির সম্পত্তি গত এক বছরে বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। অন্যদিকে, সবচেয়ে গরিব পঞ্চাশ শতাংশ মানুষের সম্পত্তি বেড়েছে মাত্র ৩ শতাংশ।

[প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব যোগ্যতা আছে মমতার, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কুমারস্বামী]

ওক্সফ্যাম নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের কোটিপতিদের মোট সম্পত্তি গত বছর প্রতিদিন ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা করে বেড়েছে। এমনই অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের সবচেয়ে বড়লোক ১০ শতাংশ জনসংখ্যার হাতে রয়েছে মোট সম্পত্তির ৭৭.৪ শতাংশ। নিচুতলার ৬০ শতাংশ মানুষের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৪.৮ শতাংশ। সেরা ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তির হাতে রয়েছে মোট ৫১.৫৩ শতাংশ জাতীয় সম্পদ। মাত্র ৯ জন ধনীর সম্পদের পরিমাণ দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিকের মোট সম্পত্তির সমান। গোটা বিশ্বেই ধনীরা আরও ধনী হচ্ছেন। তবে, ভারতের এই সম্পত্তি বৃদ্ধির পরিমাণ তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বেশি। ভারতে ধনী এক শতাংশ মানুষের সম্পত্তি  বেড়েছে ৪৯ শতাংশ। মুশকিল হল সম্পত্তির এই বৃদ্ধি শুধু বড়লোকেরই। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। অক্সফ্যামের রিপোর্ট বলছে, ২০১৮ সালে বিশ্বের সবচেয়ে গরিব হিসেবে চিহ্নিত ৫০ শতাংশ মানুষের রোজগার কমেছে ১১ শতাংশ।

Advertisement

[লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে লড়বেন করিনা!]

মুকেশ আম্বানির বর্তমান সম্পত্তির খবর আরও চমকে দেবে। দেখা গিয়েছে, একা মুকেশ আম্বানি ২০১৮ সালে যা রোজগার করেছেন তা ভারতের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রের স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা খাতে মোট বরাদ্দের সমান। আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়, দেশের এই ১ শতাংশ ধনী ব্যক্তি যদি অতিরিক্ত ০.৫ শতাংশ করও দেন তাহলে দেশের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যখাতে মোট বরাদ্দ প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়ানো সম্ভব। বিশ্বের দ্রুততম উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলির মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে ভারত। খুব শীঘ্রই আমরা মোট সম্পত্তির বিচারে ব্রিটেনকে ছাড়িয়ে যাবে। সমস্যা হল, এই আর্থিক বৃদ্ধি যে দেশের প্রকৃত অবস্থার পরিবেশক নয় তা বোঝা যাচ্ছে, এই আর্থিক বৈষম্যের পরিসংখ্যানটি দেখলেই। দেশের মোট সম্পদ বাড়লেও আসলে গরিব সেই দারিদ্রের তিমিরেই রয়ে গিয়েছে, অন্যদিকে ধনী আরও ধনী হয়েছে।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ