সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্যটক ভিসায় ভারতে এসে ধর্মীয় সমাবেশে অংশ নিয়েছিল। লকডাউন জারি হওয়ার পরেও দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে বসবাস করছিল। এই সংক্রান্ত একাধিক কারণে আগেই তবলিঘি জামাতের অনেক বিদেশি সদস্যকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এবার দিল্লিতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা তবলিঘি জামাতের ৫৬৭ জন সদস্যকে সুস্থ হওয়ার পর দিল্লি পুলিশের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
শনিবারই দিল্লির ডিভিশনাল কমিশনারের তরফে অধস্তন আধিকারিকের কাছে এবিষয়ে একটি নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, দিল্লির সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তবলিঘি জামাতের ৫৬৭ জন বিদেশ সদস্য রয়েছে। তাদের অনেকেরই করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। কিন্তু, তারপরও তারা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, অবিলম্বে তাদের দিল্লি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা, ফের পথেই মৃত্যু ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের ]
দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে মার্চের এক থেকে ১৫ তারিখ তবলিঘি জামাত (Tablighi Jamaat) -এর একটি সম্মেলন হয়। তাতে ভারতের পাশাপাশি বিদেশের অনেক নাগরিকও যোগ দিয়েছিল। এই জমায়েতের জেরে ভারতে করোনার সংক্রমণ আরও বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। সম্মেলনে আসা অনেক জামাত সদস্যের শরীরে করোনা ভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। সুস্থ হওয়ার পরেই আক্রান্তরা অনেকে রক্তের প্লাজমাও দান করে।
শনিবার ভারতীয় তবলিঘি জামাত সদস্যদের বিষয়ে ওই নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ২ হাজার ৪৪৬ জন ভারতীয় তবলিঘি জামাত সদস্য দিল্লির বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই সদস্যদের যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তাদের ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। নাম ও ঠিকানা নথিভুক্ত করার পর তাদের বাড়ি যাওয়ার পাস দেওয়া হবে। পাশাপাশি তারা যেন বাড়ি ছাড়া অন্য কোথাও না যায় সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। কোয়ারেন্টাইনে থাকা ওই জামাত সদস্যদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা-সহ অন্য সরকারি নির্দেশও মানতে হবে। কোনওভাবেই তারা মসজিদে থাকতে পারবে না।