Advertisement
Advertisement

‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে সুপ্রিম কোর্টের এক্তিয়ারের বিরোধিতায় হরিয়ানার মন্ত্রী

গণতান্ত্রিক দেশে মত প্রকাশের জন্য আদালতের অনুমতি কেন লাগবে, ক্ষুব্ধ বিতর্কিত এই নেতা।

Haryana Minister astonished on SC rebuking Chief Ministers for speaking against Padmavati
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 28, 2017 12:39 pm
  • Updated:September 22, 2019 12:50 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তুলোধোনাতেও কথা থামছে না ‘পদ্মাবতী’র বিরোধীদের। যখন নেতারা কেন এত কথা বলছেন বলে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেছে সুপ্রিম কোর্ট, সেখানে আদালতের এক্তিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তুলে ফেললেন হরিয়ানার মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রীয় কোনও মন্ত্রী নন, বিজেপিশাসিত হরিয়ানার ক্রীড়ামন্ত্রী অনিল ভিজ এবার ‘পদ্মাবতী’ বিতর্কে গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে বাকস্বাধীনতার প্রশ্ন তুলেছেন। ভারতের মতো গণতান্ত্রিক দেশে মত প্রকাশের জন্য আদালতের অনুমতি কেন লাগবে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ বিতর্কিত এই নেতা।

[‘পদ্মাবতী’ নিয়ে নেতাদের এত কথা কেন, কেন্দ্রকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের]

প্রসঙ্গত, এদিনই বিহারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ মন্ত্রী কৃষ্ণকুমার ঋষি রাজ্যে ‘পদ্মাবতী’র মুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বলেছেন, আপত্তিকর দৃশ্যগুলি বাদ না দেওয়া হলে বিহারে ছবিটি রিলিজ করতে দেওয়া হবে না। এই মন্তব্যের জেরে চলচ্চিত্রমহলে স্বভাবতই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে, ছবিতে কোন দৃশ্যটা আপত্তিকর আর কোনটা নয় তা নির্ধারণ করার অধিকার কার? সেন্সর বোর্ড এখনও এমন কোনও জিগির যখন তোলেনি তবে বিহারের মন্ত্রী কীভাবে এই সিদ্ধান্তে আসছেন যে ছবিতে আপত্তিকর দৃশ্য রয়েছে। আর যদি আপত্তিকর দৃশ্য থেকেই থাকে তবে তা বাদ দেওয়ার কাজও সেন্সর বোর্ডের। সাম্প্রতিককালে ‘পদ্মাবতী’ ছবি নিয়ে গোটা দেশে বিতর্কের আগুন যেভাবে ছড়িয়েছে তাতে সিনেদুনিয়ার পাশাপাশি উদ্বিগ্ন সুপ্রিম কোর্টও। একইসঙ্গে ক্ষুব্ধও।

[‘পদ্মাবতী’র জন্য ১৫ মিনিটের ব্ল্যাকআউটে শামিল টলিপাড়াও]

মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের প্রশ্ন, একটা ছবি সেন্সরের ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই উচ্চ পদাধিকারীরা তা নিয়ে এত কথা বলছেন কেন? সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা হওয়া এক জিনিস, আর যাঁরা ক্ষমতার বৃত্তে অবস্থান করছেন তাঁদের এ নিয়ে মন্তব্য করা অন্য জিনিস। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এ নিয়ে অসন্তোষ গোপন করেননি। বেঞ্চ জানায়, ছবিটি যখন এখনও সেন্সরের ছাড়পত্র পায়নি, তার মানে সেটি বিচারাধীন বিষয়ের মতোই। তার আগেই নেতারা বলছেন, ছবির মুক্তি পাওয়া উচিত নয়। কেউ বলছেন, সেন্সর যেন না ছাড়পত্র দেয়। এ তো বিচারের আগেই বিচার হয়ে যাচ্ছে। এতে সেন্সরের সিদ্ধান্ত প্রভাবিত হতে পারে। তিরস্কার করে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, উচ্চ পদাধিকারীরা আইনকানুনের সাধারণ নিয়মগুলো অন্তত মেনে চলুন। পরোক্ষে কেন্দ্রকেই এ নিয়ে তুলোধোনা করে সুপ্রিম কোর্ট। নেতাদের এ ধরনের মন্তব্য ছবি সম্পর্কে বিরূপ মনোভাব তৈরি করবে বলেই বিশ্বাস সর্বোচ্চ আদালতের। তার প্রেক্ষিতেই পালটা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অনিল ভিজ। তাঁর মতে, গণতান্ত্রিক দেশে আদালত কখনও ব্যক্তির মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ