Advertisement
Advertisement

ক্লাসে বান্ধবীর সঙ্গে গল্প করায় বকুনি, পড়ুয়ার গুলিতে ঝাঁজরা শিক্ষক

পরপর চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে ছাত্র।

Haryana: Students shoots teacher four times in college

ছবি: প্রতীকী।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 15, 2018 8:46 am
  • Updated:August 30, 2019 5:11 pm

সংবাদ প্রতিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের রক্তাক্ত শিক্ষাঙ্গন। আবারও হরিয়ানা। এবার সোনিপতে কলেজের ক্লাসরুমে ঢুকে এক অধ্যাপককে গুলি চালিয়ে হত্যা করল এক পড়ুয়া। বুধবার ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ক্লাসের মধ্যে বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলায় বকুনি দেওয়ার পাশাপাশি বাড়িতে নালিশ করেছিলেন ওই অধ্যাপক। তার জেরেই অধ্যাপককে গুলি করে হত্যা করে বলে ওই পড়ুয়া স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই।

মঙ্গলবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সবে সকাল ১০টা। পরপর গুলির আওয়াজে কেঁপে ওঠে সোনিপতের শহিদ দলবীর সিং স্টেট কলেজ। মুহূর্তের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোথায় গুলি চলল, কারাই বা চালাল তা তখনও বোধগম্য হয়নি। স্টাফরুম থেকে আচমকাই রক্ত ভেসে আসতে দেখে ছুটে আসেন বাকি সহকর্মী থেকে পড়ুয়ারা। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই কলেজের ইংরেজির অধ্যাপক রাজেশ মালিক। অভিযোগ, জগমল নামে ১৯ বছরের এক ছাত্র পরপর চার রাউন্ড গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করেছে। এমন ঘটনায় ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক এবং অশিক্ষককর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল জগমল। খবর পেয়ে কলেজে যায় পুলিশ।

Advertisement

[বিধানসভায় ধুন্ধুমার, গুজরাটের বিজেপি বিধায়ককে মার কংগ্রেস বিধায়কের]

কে এই জগমল? জানা গিয়েছে, জগমল কলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কী কারণে এই খুন তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার নেপথ্যে এক ছাত্রী রয়েছে। সোমবার ক্লাস নেওয়ার সময় জগমল ও এক ছাত্রীকে বেঞ্চে বসে কথা বলার জন্য বকুনি দেন রাজেশ মালিক। তখনই জগমলের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। ছাত্রকে ক্লাস থেকে বের করে দেন ওই অধ্যাপক। সেই রাগেই এই খুন বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। পড়ুয়াকে গ্রেপ্তারের পর সেই তত্ত্বেই সিলমোহর দিল তারা। পুলিশ জানিয়েছে, জগমল তার বাবার পিস্তল লুকিয়ে এনেই এই অপকর্ম করেছে। ঘটনার সময়ে রাজেশ মালিকের মেয়েও স্কুলে ছিলেন। সে একটি কাজে বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। সেই সময়ে এই ঘটনায় কার্যত হতবাক তিনি। অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে সরব হন তিনি। কলেজের অধ্যক্ষ জয় প্রকাশ বলেন, ঘটনার পরেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। রক্তাক্ত অবস্থায় অধ্যাপককে হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। সোনিপতের এসএসপি জানিয়েছেন, “কলেজের সিসিটিভি খতিয়ে দেখা হয়। ওই পড়ুয়ার কল রেকর্ড ও বন্ধু-আত্মীয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁর খোঁজ চলে। অবশেষে ওই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

[মন্দিরের কুয়ো থেকে উদ্ধার বস্তাবন্দি হাজার খানেক আধার কার্ড]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ