সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ঠিক আগে আগে অরুণাচল ইস্যুতে হঠাত চাপে ভারত। নয়াদিল্লির যাবতীয় চাপ উপেক্ষা করেই উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির উপর নিজেদের অধিকার জাহির করে চলেছে চিন। যার সর্বশেষ উদাহরণ একপেশে ভাবে অরুণাচলের ৩০টি জায়গার নাম বদলে দেওয়া। চিনের জিনপিং প্রশাসনের এই পদক্ষেপে নয়াদিল্লি ক্ষোভপ্রকাশ করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের শাসকদলের অস্বস্তি কমছে না। শেষে বিজেপির অন্দরেই চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার দাবি ওঠা শুরু করেছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপির প্রথম সারির নেতা হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma) বলছেন, “আমি ভারত সরকারকে অনুরোধ করব, চিনের দখলে থাকা তিব্বতের ৬০টি এলাকার নাম বদলে দেওয়া হোক। জানি এটা ভারত সরকারের নীতিগত বিষয়। এ নিয়ে বেশি কিছু বলব না। তবে চিনকে যোগ্য জবাব দেওয়া উচিত।” হিমন্তর সাফ কথা, চিন যদি আমাদের ৩০টি এলাকার নাম বদলে দিয়ে থাকে তাহলে আমাদের উচিত ওদের ৬০টি জায়গার নাম বদলে দেওয়া।
নয়াদিল্লি যতই বারবার বলুক, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এবং এই ভূখণ্ডে ভারতের ছিল, আছে ও থাকবে, উত্তর-পূর্বের রাজ্যটিকে নিজেদের জ্যাংনান প্রদেশ হিসাবেই দাবি করে যাচ্ছে চিন। সম্প্রতি অরুণাচলের তিরিশটি জায়গার চিনা নামকরণ করেছে বেজিং প্রশাসন। বেজিংয়ের সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জ্যাংনান প্রদেশের তিরিশ জায়গার চিনা নাম রাখা হয়েছে। এই তালিকায় ১২টি আবাসিক এলাকা, ১১টি পাহাড়, চারটি নদী, একটি সুড়ঙ্গ ও দুটি খালি এলাকার উল্লেখ আছে।
তার পরই ভারত চিনকে (China) এ নিয়ে তোপও দেগেছে। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সাফ কথা, “আপনার বাড়ির নতুন নাম দিলে, বাড়িটা কি আমার হয়ে যাবে? এসব নামকরণ করে কোনও লাভ নেই। অরুণাচল ভারতে অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।” কিন্তু তাতেও বিরোধীরা তোপ দাগতে ছাড়ছে না। সেই চাপের মুখেই এবার ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল হিমন্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.