Advertisement
Advertisement

Breaking News

হিন্দুদের উপেক্ষা করা হচ্ছে, রাম মন্দির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টকে তোপ আরএসএসের

শীর্ষ আদালতকে একপ্রকার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ।

Hindus are being neglected: RSS
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:March 9, 2019 9:16 am
  • Updated:March 9, 2019 4:55 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাম মন্দির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের মধ্যস্থতার নির্দেশকে একহাত নিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। আরএসএসের অভিযোগ, ধারাবহিকভাবে হিন্দুদের ভাবাবেগকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। কীভাবে দ্রুত মন্দির নির্মাণ করা যায় সেই উদ্দেশ্যে আইনি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে না নিয়ে গিয়ে হতবাক করার মতো পদক্ষেপ করেছে শীর্ষ আদালত। এহেন সংবেদনশীল মামলা সর্বোচ্চ আদালত সর্বাধিক গুরুত্ব পাওয়া উচিত। এই মামলার সঙ্গী হিন্দুদের গভীর আবেগ জড়িয়ে আছে। অথচ এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না বলে কটাক্ষও করেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ।

[অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতার পক্ষে রায় সুপ্রিম কোর্টের]

রাম মন্দির নিয়ে মধ্যস্থতা ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যে তাঁরা একেবারেই সন্তুষ্ট নন, একথা গোপন করেনি আরএসএস। সংঘের তরফে সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশ্যে একপ্রকার হুঁশিয়ারিই দেওয়া হয়ছে। সংঘের তরফে বলা হয়েছে, “আমাদের বিচারবিভাগের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তবে, আমাদের মনে হয় হিন্দুদের ভাবাবেগকে ক্রমাগত উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্ট করে দিতে চাই, অযোধ্যা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কীভাবে মন্দির নির্মাণে সব বাধা দূর হয়, তা নিশ্চিত করা।” মন্দির ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টকে তোপ দাগতে গিয়ে সবরীমালা ইস্যুও তুলে এনেছে সংঘ। আরএসএসের অভিযোগ, সবরীমালা মন্দির মামলাতেও হিন্দুদের ভাবাবেগকে গুরুত্ব না দিয়ে একপেশে রায় দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। এমনকী, সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চে একমাত্র মহিলা বিচারপতি এই রায়ে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন, তাতেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।” 

Advertisement

[প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা কংগ্রেসের, সোনিয়া লড়বেন রায়বরেলিতে]

শুক্রবার অযোধ্যা মামলায় মধ্যস্থতার পক্ষে সায় দেয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ৷ তিন সদস্যের একটি মধ্যস্থতাকারী প্যানেলও তৈরি করা হয় ৷ যার মাথায় রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি খলিফুল্লাহ৷ এছাড়াও রয়েছেন শ্রী শ্রী রবিশংকর ও আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চু৷ চার সপ্তাহের মধ্যে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়েছে ওই প্যানেলকে৷ শেষ করতে হবে আট সপ্তাহের মধ্যে৷ কিন্তু এই মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া মন্দির আন্দোলনের পুরোধা আরএসএসের যে পছন্দ হয়নি, তা তাদের এই বয়ানেই পরিষ্কার।

Advertisement

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ