সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দুদের উপর নেমে আসা আক্রমণকে সমর্থন করা হয় বাংলা ও কেরালায়। দুই রাজ্যের শাসকদলই পরোক্ষে ইন্ধন দেয় এই কাজে। এমনই অভিযোগ তুলল আরএসএস।
[ ফেসবুকে যোগীর আপত্তিকর ছবি পোস্ট করে বিপাকে তরুণী ]
সম্প্রতি আরএসএসের বার্ষিক প্রতিনিধি সভাতেই উঠে এল এই উদ্বেগ। এ সভার নেতৃত্বে ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। সেখানেই জানানো হল পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু নাগরিকের সংখ্যা কমে যাওয়ার কথা। অভিযোগ, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতেই হিন্দুদের উপর আক্রমণকে সমর্থন করা হয়। অভিযোগ এমনটাই। একই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে কেরলের বাম সরকাররের বিরুদ্ধেও।
[ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবতীকে যৌনপেশায় নামাল ‘ফেসবুক বন্ধু’ ]
পরিসংখ্যান উল্লেখ করে ওই সভায় জানানো হয়, ১৯৫১ সালে পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুর সংখ্যা ছিল ৭৮.৪৫ শতাংশ। ২০১১ সালের জনগণনায় তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৭০.৫৪ শতাংশে। এই হ্রাসকেই উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোট রাজনীতির কারণে মৌলবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। সঙ্ঘের দাবি, সংখ্যগরিষ্ঠ হিন্দুর রাজ্য হয়েও বহু হিন্দুকে আক্রমণের মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে হচ্ছে।
[ রাম মন্দিরের পাশাপাশি হোক মসজিদও, চাইছেন বিজেপি নেতাই ]
বার্ষিক প্রতিনিধি সভা আরএসএসের সর্বোচ্চ পর্যায়ের আলোচনা চক্র। তিনদিনের এই মিটিংয়েই আগামিদিনের যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই সভায় তাই পশ্চিমবঙ্গের কথা উঠে আসা বেশ ইঙ্গিতবাহী। কিছুদিন আগেই এ রাজ্যে সভা করা নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন আরএসএস প্রধান। যদিও শেষমেশ সভা হয়। সেখান থেকে অবশ্য বিশেষ কিছু বার্তা দেননি। কিন্তু ভবিষ্যতে পশ্চিমবঙ্গ যে তাঁদের পাখির চোখ, সভার এই প্রস্তাবনা থেকে তা বোঝা যায়। সঙ্ঘ পরিবারের আদর্শের অন্যতম সমর্থক যোগী আদিত্যনাথের ক্ষমতাপ্রাপ্তি হয়তো বাড়তি মনোবলও জুগিয়েছে। তার উপর ভিত্তি করেই এবার নয়া আরএসএস দুই রাজ্যে নয়া কর্মসূচি নিতে পারে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।