BREAKING NEWS

১৮ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  শুক্রবার ২ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বীর্যের পর এবার প্রস্রাবে ভরা বেলুন ছোড়া হল ছাত্রীদের লক্ষ্য করে

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: March 2, 2018 10:37 am|    Updated: September 16, 2019 11:40 am

Holi Hooliganism: Delhi college girl alleges attack with ‘urine balloons’

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোলির আনন্দ যেন পর্যবসিত হচ্ছে বিকৃতিতে। ঘটনাস্থল সেই দিল্লি। যেখানে কলেজ ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ছোড়া হয়েছিল বীর্যভরা বেলুন। তা নিয়ে গোটা দেশে শোরগোল। এবার প্রস্রাবে ভরা বেলুন ছোড়া হল দুই কলেজ ছাত্রীকে লক্ষ্য করে। দায়ের হয়েছে অভিযোগ।

[  ‘বেলুনে বীর্য থাক বা না থাক, হোলি কি মহিলাদের হেনস্তার লাইসেন্স দেয়?’ ]

লেডি শ্রীরাম কলেজের ছাত্রীদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল বীর্যভরা বেলুন। এমনিতে হোলিতে বেলুনে রং ভরে ছোড়ার রেওয়াজ নতুন নয়। বিশেষত যুবক-যুবতীরা একে অন্যের দিকে এভাবে মজা করে রং ছুড়ে দেয়। যদিও এ প্রথা নিয়েও প্রশ্ন আছে। তবু যেহেতু হোলি তাই ‘বুরা না মানো’। তা বেশ চলছিল। কিন্তু ক্রমশ তা গিয়ে পৌঁছেছে যৌন হেনস্তায়। কলেজ ক্যাম্পাসে বীর্যভরা বেলুন পাওয়ার পর থেকেই গোটা দেশ শিউরে উঠেছিল। মানসিকতা কোন বিকৃত পর্যায়ে পৌঁছালে এ কাজ করা যায়, তা নিয়ে গোটা দেশেই শুরু হয়েছে আলোচনা। তার ঠিক পরেই প্রস্রাব ভরা বেলুন ছোড়া হল দুই কলেজ ছাত্রীকে লক্ষ্য করে। দুজনেই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। গ্রেটার কৈলাস ও অমর কলোনির বাসিন্দা তাঁরা। অভিযোগ, হোলির অছিলায় তাঁদের দিকে প্রস্রাব ভরা ভেলুন ছোড়া হয়েছে। গ্রেটার কৈলাসের ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অমর কলোনির ঘটনায় এখনও কোনও এফআইআর হয়নি। তবে দুই পড়ুয়াই এই বিষয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজুর আবেদন জানিয়েছে। এ বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন তাঁরা।

[  অশুভ বিনাশের ডাক, হোলিকা দহনে পুড়ল নীরব মোদির কুশপুতুল ]

বৃহস্পতিবারই প্রশ্ন তুলেছিলেন গুরমেহর কৌর। হোলির নামে এই যে রং ভরা বেলুন ছোড়া হয় যুবতীদের দিকে, তাই-ই বা কতটা গ্রহণযোগ্য। কারও অঙ্গ স্পর্শ না করে রং দেওয়ার এ এক উপায় বটে। কিন্তু বুরা না মানো কথাটার মধ্যেই কি বদমাইশি করার ছাড়পত্র দেওয়া আছে? প্রশ্ন তুলেছিলেন এই তরুণী। তাঁর দাবি ছিল, কারও অনুমতি না নিয়ে শুধু হোলির অছিলায় এভাবে রং দেওয়াও রীতিমতো অসভ্যতা। হোলিতে এই মাত্রাছাড়া দৌরাত্মের প্রতিবাদে পথে নেমেছিলেন দিল্লির ছাত্রীরাও। যদিও কার্যত দেখা গেল তাতে অবস্থার বদল কিছু হয়নি। ক্রমশ যে বিকৃত জায়গায় পৌঁছচ্ছে হোলির এই প্রথা, তাতে ভবিষ্যতে কি তা বন্ধ হয়ে যাবে? প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।

complaint_part_1-x404

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে