Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন

‘ভয় লাগছে’, ফোনে শেষবার বোনের সঙ্গে কথা হায়দরাবাদের নিহত চিকিৎসকের

ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে খুনের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Hyderabad rape victim's Last conversation with sister
Published by: Sayani Sen
  • Posted:November 29, 2019 4:24 pm
  • Updated:November 29, 2019 4:59 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাধ্যম সিসিটিভি ফুটেজ। আর সেই হাতিয়ারে ভরসা করেই তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘটনার মধ্যেই চার অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করছেন তদন্তকারীরা। উদ্ধার হয়েছে ওই তরুণীর স্কুটিটিও। ধৃতদের জেরা করে গোটা ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

শামসাবাদ টোল প্লাজা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ব্রিজের নিচ থেকে তরুণী চিকিৎসকের অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়। খবর দেওয়া হয় পরিজনদের। ওই চিকিৎসক গলায় একটি গণেশের লকেট পরতেন। সেই লকেটের সূত্র ধরেই পরিজনেরা চিকিৎসকের দেহ শনাক্ত করেন। টোলপ্লাজার কাছ থেকেই তরুণীর পোশাক, ব্যাগ, জুতো এবং একটি মদের বোতলও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, প্রথমে ধর্ষণ করা হয় চিকিৎসককে। এরপর প্রমাণ লোপাটের জন্য কেরোসিন কিংবা পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। শরীরের প্রায় ৭০ শতাংশই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল। ওই তরুণীর স্কুটিওটি প্রথমে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তদন্তকারীরা। তবে দেহ উদ্ধারের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর স্কুটি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার একটি গ্যারেজের সামনে থেকে স্কুটি উদ্ধার করা হয়েছে।  ওই গ্যারেজের মালিক বলেন, “বুধবার রাত সাড়ে নটা-দশটা নাগাদ এক যুবক গ্যারেজে ওই স্কুটিটি আনে। টায়ার সারিয়ে দেওয়ার কথা বলে। সারাতে সময় লাগবে বলায় স্কুটি রেখে চলে যায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ৮১ জন ছাত্রর জন্য বরাদ্দ মাত্র এক লিটার দুধ! মিড ডে মিলের কঙ্কালসার দশা উত্তরপ্রদেশে]

এদিকে সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে পুলিশ জানতে পারে যে, গত বুধবার রাতে বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী চিকিৎসক হায়দরবাদের কাছে সামশাবাদের টোলপ্লাজায় নিজের স্কুটিটি রাখেন। তারপর কাছেই একজন ত্বকের চিকিৎসকের কাছে যান। রাত নটার সময় টোলপ্লাজার কাছে পৌঁছন তিনি। দেখেন, তাঁর স্কুটির একটি চাকা ফুটো হয়ে গিয়েছে। ঠিক ততক্ষণ তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল ওই তরুণীর বোনের। তিনি শেষবার ফোনে ভয় লাগছে বলেই জানান। এরপর থেকে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায় ওই চিকিৎসকের। সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে একটি ট্রাকের চালক এবং খালাসিকে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেরকে জেরা করে আরও দু’জনের খোঁজ পায় পুলিশ। সকলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আধিকারিকরা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ