সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্ফোরক উক্তি করলেন তিব্বতের ধর্মগুরু দলাই লামা। এবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। বললেন, জওহরলাল নেহেরুর বদলে যদি মহম্মদ আলি জিন্নাকে প্রধানমন্ত্রী করা হত, তাহলে ভারত ও পাকিস্তান, দুই দেশকেই আজ এই দিন দেখতে হত না। দুই দেশের মধ্যে ঐক্য থাকত। মহাত্মা গান্ধীও এমনটাই চেয়েছিলেন বলে জানান দলাই লামা।
গোয়া ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিব্বতের ধর্মগুরু। সেখানেই তিনি একথা বলেন। জানান, গান্ধী চাইতেন নেতৃত্ব মহম্মদ আলি জিন্নাকে দেওয়া হোক। কিন্তু নেহেরুর আত্মকেন্দ্রিক মনোভাবের জন্য এমন একটি ঐতিহাসিক ভুল হয়ে গেল। নেহেরু প্রধানমন্ত্রী হতে চাইতেন। আর সেই কারণেই মহাত্মা গান্ধীর ইচ্ছা ধোপে টেকেনি। যদি তাই হত, তবে আজ ভারত-পাকিস্তান ঐক্যবদ্ধ থাকত।
[ মেরিনা বিচেই সমাহিত করুণানিধি, ঠাঁই পেলেন আন্নাদুরাইয়ের পাশে ]
তিনি এও বলেন, ভারতের মুসলিমদের মধ্যে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটি ইসলাম ধর্মের শান্তি বিঘ্নিত করে। আজ সম্প্রদায়ের লড়াইয়ের জন্য রক্তপাত হচ্ছে। এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন দলাই লামা। বলেন, ইসলাম সম্প্রীতির কথা বলে, যুদ্ধের কথা নয়। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বের একটা অংশ। আমার কখনও মনে হয়, আমেরিকা, ইংল্যান্ড বা ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেসব ভারতীয়রা থাকে তাদের দীপাবলী বা নববর্ষে অন্য ইউরোপিয়ানদের আমন্ত্রণ করা উচিত। তাদের সঙ্গে অহিংসার আলোচনা করা উচিত।”
ইসলাম সংস্কৃতিতে শিয়া ও সুন্নি দু’টি আলাদা বড় সম্প্রদায়। হজরত মহম্মদের মৃত্যু পর তারা আলাদা হয়। অথচ গোটা বিশ্বের মুসলিমরা একই কোরান মেনে চলে, দিনে পাঁচবার নমাজ পড়ে। তাহলে শিয়া ও সুন্নির বিভেদে তারা কীভাবে একে অপরকে হত্যা করতে পারে? “যখন আমি লাদাখ থাকতাম, সেখানকার মুসলিম ও ভারতীয় মুসলিমদের বলেছিলাম, এই বিভেদ মেটানোর জন্য তারা যেন চেষ্টা করে।” বলেন দলাই লামা।
[ মুজাফ্ফরপুর হোম কাণ্ডে জড়িত স্বামী, চাপের মুখে ইস্তফা বিহারের মন্ত্রীর ]