সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ রাজ্যে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা কমাতে উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। মানুষকে সচেতন করতে ‘সেফ লাইফ, সেভ ড্রাইভ’ স্লোগান তুলে প্রচারে নেমেছে প্রশাসন। তবে শুধু এ রাজ্যেই নয়, সারাদেশেই পথ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের পরিংসখ্যান বলছে, গত বছর ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ৫৫টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। সারা বিশ্বে যা নজিরবিহীন।
[ জন্ম নিয়ন্ত্রণে নয়া পদক্ষেপ কেন্দ্রর, বিনামূল্যে মিলবে গর্ভনিরোধক ]
সম্প্রতি সারা দেশে পথ দুর্ঘটনা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। যতই সচেতনতামূলক প্রচার হোক না কেন, ভারতে যে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্টে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর সারা দেশে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৭৮৫ জন। যা তার আগের বছর মানে ২০১৫ সালের থেকে ৩.৩ শতাংশ বেশি। সে বছর পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ১ লক্ষ ৪৬ হাজার জনের। কিন্তু, তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ২০১৫ সালে সারাদেশে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল ৫ লক্ষ ১ হাজারটি। ২০১৬ সালে সেই সংখ্যাটি কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার ৬৫২। কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, সামগ্রিকভাবে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা কমেছে ঠিকই। তবে দুর্ঘটনার ভয়াবহতা বাড়ছে। তাই অনেক বেশি মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে।
[গরুর শোকে আত্মঘাতী মালিক, উত্তেজনা মধ্যপ্রদেশের অশোকনগরে]
দেশের কোন শহরে সবচেয়ে বেশি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে? কোন বয়সের ছেলে-মেয়েরা দুর্ঘটনার কবল পড়ছেন? কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, পথ দুর্ঘটনার সংখ্যার নিরিখে দেশের অন্য সব বড় শহরকে পিছনে ফেলে দিয়েছে চেন্নাই। তামিলনাড়ুর রাজধানীতে গত বছর ৭ হাজার ৪৮৬টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে গত বছর পথ দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পথ দুর্ঘটনায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫-র মধ্যে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে গাড়ির অনুপাতে রাস্তা পর্যাপ্ত নয়। তাই ছোট রাস্তায় গাড়ির ভিড় যেমন বাড়ছে, তেমনি ঘটছে দুর্ঘটনাও।
[পূর্ব ও উত্তর পূর্বে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ম্যাকডোনাল্ডস-এর সমস্ত আউটলেট]