সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে বিশ্বের কাছে সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় হল পরিবেশ দূষণ। যার মধ্যে অন্যতম হল বায়ুদূষণ। এর তীব্রতা এতটাই প্রতিনিয়ত মারা যাচ্ছেন বহু মানুষ। বায়ুদূষণের থাবা থেকে মুক্তি পায়নি ভারতও। চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত ‘ল্যান্সেট’ রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বায়ুদূষণে প্রতি মিনিটে দু’জন করে মানুষ মারা যাচ্ছেন। অর্থাৎ ফি-বছর সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বায়ুদূষণের কারণেই জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে। তাই সবার আগে এগুলির মোকাবিলা করতে হবে। এমনটাই বলা হয়েছে রিপোর্টটিতে।
চাঁদ থেকেই মিলবে অফুরন্ত শক্তি, নয়া প্রকল্প ইসরোর
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি প্রভাব পড়ছে মানুষের শরীরেও। অন্যান্য দূষণগুলির তুলনায় বায়ুদূষণই সবচেয়ে ক্ষতিকারক। আর এর ফলেই অকালে মারা যাচ্ছেন বহু মানুষ। প্রায় ৪৮ জন বিজ্ঞানীর প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দূষিত শহরগুলির তালিকায় পাটনা এবং নয়াদিল্লির স্থান ওপরের দিকেই। মূলত কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির কারণেই বায়ুদূষণ দিন দিন বেড়ে চলেছে। এছাড়া রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, পৃথিবীতে প্রতি দিন গড়ে ১৮ হাজার করে মানুষ এই বায়ুদূষণের কারণেই মারা যাচ্ছে। ফলে এক বছরে আয়ের দিক থেকে ২২৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিও হচ্ছে।
অধিনায়কত্ব গেল ধোনির, পুণের নয়া নেতা স্টিভ স্মিথ!
পরিবেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল মাধব দাভে জানান, প্রতিবছর কেন্দ্রের তরফ থেকে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে নানান পদক্ষেপ নেওয়া হয়। খরচ হয় সাত কোটি টাকার কাছাকাছি। কিন্তু ভারতের জনসংখ্যার দিক থেকে দেখলে এই খরচ খুবই কম। তবে তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণের কারণে কতজন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত বা মারা গেছেন, সে সংক্রান্ত সঠিক তথ্য এখনও তাঁদের হাতে নেই। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের কথায়, ‘দূষণের কারণে যখন ফুসফুস আক্রান্ত হয়, বিশেষ করে শিশুদের তখন সেটার থেকে খারাপ কিছু হতে পারে না। এটা অনেকটা মৃত্যুর দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। এখনও পরিবেশ বাঁচানোর জন্য অনেক কিছু করা যেতে পারে।’