Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্ত্রাস আর আলোচনা একসঙ্গে নয়, পাকিস্তানে সার্ক সামিট বয়কট ভারতের

সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া বন্ধ না হলে আলোচনা নয়, বললেন বিদেশমন্ত্রী।

India boycotts SAARC summit
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:November 28, 2018 2:30 pm
  • Updated:November 28, 2018 2:30 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে চলা সার্ক শীর্ষ বৈঠক বয়কট করল ভারত। বুধবার একথা জানিয়ে দিলেন বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদ এবং শান্তি আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না। যতদিন না পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ করছে ততদিন তাদের সঙ্গে আলোচনা নয়।

[সন্ত্রাস জর্জরিত কাশ্মীরে ‘কাজ নেই’ জঙ্গিদের ত্রাস এনএসজির]

মঙ্গলবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল বলেছিলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে আমরা ভারতের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ লড়েছি, ফলে সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি জোড়া লাগবে এমন নয়। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। জনগণের ইচ্ছে এবং আবেগকে প্রাধান্য দিয়েই কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাই সময়ের চাহিদা। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বই চাইছে পাকিস্তান। পাকিস্তান চাইবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী-সহ বাকি দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারাও সার্ক সম্মেলনে ইসলামবাদে আসুন।” কিন্তু পাকিস্তানের এই আমন্ত্রণে সাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বুধবার জানান, “আমাদের কাছে পাকিস্তানের আমন্ত্রণ পত্র এসে পৌঁছেছে তবে, আমরা এই প্রস্তাবে সাড়া দিচ্ছি না। আমি আগেও বলেছি যতদিন না পাকিস্তান ভারতের মাটিতে সন্ত্রাসবাদকে মদত দেওয়া বন্ধ করছে ততদিন কোনও আলোচনা সম্ভব নয়।”

[কাশ্মীরে নিকেশ সাংবাদিক সুজাত বুখারির হত্যাকারী জঙ্গি]

সম্প্রতি, ভারতের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কর্তারপুর করিডর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। সেদেশের দাবি, এর ফলে ভারতের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। যদিও, বিদেশমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু কর্তারপুর করিডর তৈরি করায় শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে না। তিনি বলেন, “কর্তারপুরে করিডর তৈরি মানেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল তা নয়, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা আর কর্তারপুরে করিডর সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। আমরা বছরের পর বছর ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলাম, অবশেষে পাকিস্তান সাড়া দিয়েছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে ওদের সঙ্গে আলোচনার রাস্তা খুলে গেল। পাকিস্তান যখন সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করা বন্ধ করবে তখনই আলোচনা শুরু করা যেতে পারে। আলোচনা আর সন্ত্রাস একসঙ্গে চলতে পারে না।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ