সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে ক্রমে আগ্রাসী হয়ে উঠছে চিন (China)। নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রায়ই গোলবর্ষণ করছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এহেন সংকট কালে যুদ্ধের জন্য তৈরি ভারতীয় ফৌজও। তাই রণকৌশল ঝালিয়ে নিতে এবার আন্দামান সাগরে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী।
জানা গিয়েছে, সোমবার আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগরে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করছে স্থলসেনা, নৌসেনা ও বায়ুসেনা। অংশ নিচ্ছে উপকূলরক্ষী বাহিনীও। এই মহড়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কবচ’ অর্থাৎ বর্ম। পাশাপাশি, ‘অ্যামফেক্স-21′ শীর্ষক মহড়াও চালানো হয়। এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা আন্দামান ও নিকোবর কমান্ড (এএনসি)৷ এই প্রশিক্ষণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ফৌজের তিন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় মজবুত করে একযোগে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করা। এর ফলে সেনার তিনটি অঙ্গের মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান, সেনা মোতায়েন ও রণকৌশল নির্ণয়ের বিষয়টি আরও সহজ হয়ে ওঠবে। যুদ্ধের পরিস্থিতিতে কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে বাহিনীগুলির ভূমিকা কেমন হবে তা দ্রুত নির্ণয় করা যাবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপে ‘AMPHEX-21’-এ অংশ নেয় রণতরী, যুদ্ধবিমান ও সেনার সাদার্ন কমান্ডের অ্যাম্ফিবিয়াস ব্রিগেড।
উল্লেখ্য, সীমান্ত সংঘাত নিয়ে আলোচনা চললেও নর্থ সিকিমের (North Sikkim) নাকু লা সীমান্ত থেকে ফের অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লালফৌজের সৈনিকরা। তবে খারাপ আবহাওয়ার মধ্যেও ভারতীয় সেনার তৎপরতায় চিনা বাহিনীর সেই চেষ্টা ভেস্তে দেন ভারতীয় জওয়ানরা। গত সপ্তাহে গালওয়ানের মতোই নাকু লাতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লালফৌজ। রুখে দাঁড়ান ভারতীয় জওয়ানরা। শেষপর্যন্ত গালওয়ানের মতোই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দু’দেশের সেনা জওয়ানরা। ভারতীয় সেনার পালটা মারে পিছিয়ে যায় লাল ফৌজ। এই ঘটনায় ২০ জন চিন সেনা আহত হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে, আঘাত পেয়েছেন ৪ ভারতীয় জওয়ানও। শেষ পাওয়া খবরে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তবে সীমান্তে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে ভারতীয় সেনার জওয়ানরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.