ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাষ্ট্রসংঘের অনেক ভূমিকাই প্রশ্নার্হ। এমনই দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের। দেরাদুনে এক জনসভায় প্রবীণ বিজেপি নেতার সাফ বক্তব্য, রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাসবিরোধী প্যানেলের সহ-সভাপতি পদে রাখা হয়েছিল পাকিস্তানের প্রতিনিধিকে। ৯/১১ পরবর্তী সময়ে ওই প্যানেল গঠিত হলেও দেখা যায়, সেই হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ রয়েছে পাকিস্তানেই!
রাজনাথকে এদিন বলতে শোনা যায়, ”এটা তো কারওই অজানা নয় যে, পাকিস্তান ওই হামলার মূলচক্রীকে আশ্রয় দিয়েছিল। ব্যাপারটা এমন দাঁড়াল যে, বিড়ালই পাহারা দিচ্ছে দুধকে।” পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসের বাবা’ বলেও তোপ দাগেন রাজনাথ। সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দেন, কীভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারত সরকার জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে তৎপর হয়ে উঠেছিল।
অপারেশন সিঁদুর পরবর্তী সময়ে বারবার পাকিস্তানকে তোপ দেগেছেন রাজনাথ। পাশাপাশি বলেছেন, ”অপারেশন সিঁদুরের চালাকালীন আমরা আরও অনেক কিছুই করতে পারতাম। কিন্তু সংযম দেখিয়েছি। সন্ত্রাসবাদকে পোষণ করলে বড় মূল্য চোকাতে হয়। পাকিস্তান আজ সেটা বুঝতে পারছে।”
পাশাপাশি তাঁকে বলতে শোনা যায়, “‘অপারেশন সিন্দুরের সময় আমাদের দেশের তৈরি বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম গোটা বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছে। এটা প্রমাণিত যেকোনও শত্রুর বর্ম ভেদ করার ক্ষমতা আমাদের আছে। আমরা আরও অনেক কিছুই করতে পারতাম, কিন্তু আমরা সংযম দেখিয়েছি।”
প্রসঙ্গত, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে ২৬ নিরস্ত্রকে হত্যা করে লস্করের সঙ্গী সংগঠন টিআরএফের চার জঙ্গি। তাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় কাশ্মীরের স্থানীয় এক জঙ্গি। এই হামলার জবাবে ৭ মে ভোর-রাতে অপারেশন চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তান ও পিওকে-র নয়টি জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলির জনবহুল এলাকা এবং সেনাঘাঁটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই হামলা প্রতিহত করার পাশাপাশি প্রত্যাঘাত করে ভারত। তাতেই তছনছ হয়ে গিয়েছে পাকিস্তানের অন্তত ১১টি একধিক বায়ু সেনাঘাঁটি। আর তারপর থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছিল রাজনাথকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.