Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন

সাগরে চিনের নজর, লাদাখের পর আন্দামানে বাড়তি ফৌজ পাঠাচ্ছে ভারত

ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে 'ড্রাগন'।

India deploys additional forces in Andaman and Nicobar Islands
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 4, 2020 2:55 pm
  • Updated:July 4, 2020 2:55 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে ‘ড্রাগন’। গালওয়ান উপত্যকার পর এবার ভারত মহাসাগরেও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে চিন (China)। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় আগেই দেখা মিলেছে লালফৌজের রণতরীর। তাই আর কোন ঝুঁকি না নিয়ে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ নিয়েও সতর্ক ভারত (India)।

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রসংঘে চিনকে ধাক্কা, ভারত বিরোধী বিবৃতি রুখে দিল জার্মানি, আমেরিকা]

জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবহরের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথা মাথায় রেখে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে অতিরিক্ত সেনা পাঠানোর কাজ শুরু করেছে ভারত। ২০০১ সালে আন্দামানে প্রথম কমান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। দেশের প্রথম এবং একমাত্র থিয়েটার কমান্ড এখনও পর্যন্ত সেটিই। আন্দামানে স্থল, নৌ ও বায়ু সেনা একই অপারেশনাল কমান্ডের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এই কমান্ড দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার বলে অভিযোগ রয়েছে। লাদাখে চিনা আগ্রাসনের কথা মাথায় রখে এবার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের (Indian Ocean Region) নিরাপত্তা নিয়েও নড়েচড়ে বসেছে ভারত। উত্তর আন্দামানের শিবপুরে নৌসেনার এয়ার স্টেশন আইএনএস কোহাসারের (INS Kohassa) রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ক্যাম্পবেলে আইএনএস বাজের (INS Baaz) রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোরও কথা চলছে। প্রয়োজনে বড় যুদ্ধবিমান যাতে এখান থেকে কাজ করতে পারে, তার জন্য বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ের দৈর্ঘ্য।

Advertisement

উল্লেখ্য, ‘ইন্ডিয়ান ওশান রিজিওন’ (আইওআর) বা ভারত মহাসাগরে ক্ষমতা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি গতিবিধি বাড়িয়ে চলেছে কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটি। ২০১৩ সালে প্রথম ওই অঞ্চলে চিনা পারমাণবিক সাবমেরিনের দেখা মেলে। তারপর থেকে জলদস্যুদের রুখা ও বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষার অছিলায় ভারত মহাসাগরে ঘোরাফেরা করছে ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি-নেভি’র যুদ্ধজাহাজ। ‘ইউয়ান ক্লাস’-এর ডিজেল-ইলেকট্রিক সাবমেরিনটির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে ভারতীয় নৌসেনার অত্যাধুনিক ‘Poseidon-8I’ নজরদারি বিমান। চিনা সাবমেরিনটি মালাক্কা প্রণালী পার করার পর থেকেই রয়েছে ভারতীয় নৌসেনার নজরে। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে তুঙ্গে ভারত-চিন উত্তেজনা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: শি জিনপিংয়ের আমলেই ভারতের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি আক্রমণাত্মক চিন, বলছে মার্কিন রিপোর্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ