সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘাড়ের কাছেই নিঃশ্বাস ফেলছে ‘ড্রাগন’। যে কোনও মুহূর্তেই বসাতে পারে থাবা। ১৯৬১ সালে নীতিনির্ধারকদের অদূরদর্শিতা, কূটনৈতিক বিফলতা ও শতাব্দী প্রাচীন রণকৌশলের জরিমানা দিতে হয়েছে দেশকে। ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ জিগির তুলে আফজাল খাঁর মতো পিঠে ছুরি মেরেছিল চিন। তবে ঠেকে শিখেছে দেশ। দিল্লির মসনদে আসীন হয়েই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনার আধুনিকীকরণে মন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে শুধু আত্মরক্ষাই নয়, প্রয়োজনে আক্রমণের পথ ও বেছে নিয়েছে তাঁর সরকার। উরি হামলার পর পাকিস্তানে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়ে তাই প্রমাণ করেছেন তিনি।
[২০ ফুট লম্বা, ওজনে ৭০০ কেজি: অতিকায় মাছকে ঘিরে চাঞ্চল্য তুঙ্গে]
এবার সামরিক শক্তিতে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। এবার ভারতীয় সেনার হাতে আসতে চলেছে ভয়ঙ্কর ব্রহ্মস মিসাইলের এমন একটি সংস্করণ যা চিনের গভীরে হামলা চালাতে সক্ষম হবে। ২০১৬ সালেই ‘মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রেজিম’ বা এমটিসিআর-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারত। এর ফলে দূরপাল্লার সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল বানাতে সক্ষম হয়েছে দেশ। এই মুহুর্তে ভারতীয় সেনার হাতে রয়েছে ২৯০ কিলোমিটার অব্দি হামলা চালাতে সক্ষম ‘ব্রহ্মস’ মিসাইল। ইতিমধ্যে ৪৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম একটি ব্রহ্মস মিসাইলের একটি নতুন সংস্করণের সফল উৎক্ষেপন করেছে ডিআরডিও। তবে এ তো সবে শুরু। কমিউনিস্ট চিনকে আতঙ্কিত করে এবার ভারত ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম ব্রহ্মস মিসাইলের একটি সংস্করণ তৈরি করছে।
[শহরে বেপোরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত ২, আহত ৫]
সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় সামরিক গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) প্রধান এস ক্রিস্টোফার জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে এই নতুন মিসাইলটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন চিনকে নজরে রেখেই এই ক্ষেপণাস্ত্রটি বানাচ্ছে ভারত। সেনার হাতে ব্রহ্মসের এই মিসাইলটি সেনার অন্তর্ভুক্ত হলে উত্তর-পূর্বে চিনের সমস্ত সামরিক ঘাঁটি ও মিসাইল বাঙ্কার এর আওতায় চলে আসবে। অরুণাচল সীমান্তে সমরসজ্জা বাড়িয়ে চলেছে লালফৌজ, তাই এবার তৈরি ভারতীয় সেনাও।